কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
তবে অস্থায়ী ওই দোকানদারদের দাবি, শীঘ্রই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে প্রশাসনকে। নাহলে রোজগারের অভাবে বড়সড় সমস্যায় পড়বেন তাঁরা। এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি সদর ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, ওখানকার হকারদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওদের আগামীতে বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়টি বিবেচনাধীন। যদিও রাস্তা ও ফুটপাত দখলকারীদের কয়েকজন এখনও নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে বেশিরভাগ অংশের সমস্যা মিটেছে। এক্ষেত্রেও সমস্যা হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানার আইসি সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকার বিশেষ অভিযান করেছিলেন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে। মাইকিং করে তিনি ঘোষণা করেছিলেন হাসপাতালের উন্নয়নের স্বার্থে, রোগীদের স্বার্থে, সুষ্ঠু যান চলাচল ও নর্দমা নির্মাণের জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। তারজন্য তিনি দুই-তিন দিন সময় দেন। বলেছিলেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে থেকে সরতে হবে ফুটপাত ও রাস্তা দখলকারী অস্থায়ী দোকানদের। এরপরই দোকানদাররা এই পদক্ষেপ নিলেন।
বিডিও মিহির কর্মকার সোমবার বলেন, ওই রাস্তায় বেশকিছু কাজ হবে। তারজন্যই সরতে বলা হয়েছিল। এদিন ৭০ জন দোকানদার নিজেরাই ফুটপাত দখলমুক্ত করে দিয়েছেন। আমরা আশা করছি, হাসপাতালের সামনের রাস্তায় আর যে ক’জন রয়েছেন তাঁদের সঙ্গেও আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
এদিকে, পণ্য সরিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করা দোকানদার মধ্যে জুলি দাস, সুনিতা দাস, মিনা দাস বলেন, কেউ ভাতের হোটেল, কেউ চায়ের দোকান করে এখানে ব্যবসা করছিল। আমাদের সকলের রোজগার বন্ধ হয়ে গেল। আমরা আশা করছি, প্রশাসন প্রতিশ্রুতি মতো আমাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করবে। নিজস্ব চিত্র।