কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের আশপাশে প্রায় সব নদীর চরে বসতি গড়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে যদি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো পুলিস প্রশাসন পদক্ষেপ করে, সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হতে পারে, এই আশঙ্কায় রয়েছেন তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা, জনপ্রতিনিধি।
নদীর চর দখল করে বসতি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মাটিগাড়ার কাওয়াখালি এলাকা অনেকদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে। কাওয়াখালিতে মহানন্দা ও বালাসন নদীর চরে একের পর এক বসতি গড়ে উঠেছে। পাকা বাড়িও তৈরি হয়েছে। কীভাবে এই নদীর চর দখল হল? কেউ এর উত্তর দিচ্ছেন না। অভিযোগ, দুই থেকে তিন লাখ টাকায় এখানে নদীর চর ও সরকারি জমি বিক্রি হয়েছে। সংগঠিতভাবে এ কাজ হয়েছে।
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিক জমি দখলের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারিতে এসব এলাকার বসিন্দাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন। অন্যদিকে, চাপে রয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব, পঞ্চায়েত সদস্য ও কাউন্সিলারদের একটি অংশ। যদিও এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। কেউ এর দায় নিতে চাইছেন না।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পিছনে কাওয়াখালিতে যেভাবে নদীর চর দখল করে বসতি গড়ে উঠেছে, সেক্ষেত্রে পুলিস প্রশাসন পদক্ষেপ করে কি না তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। এই এলাকাটি মাটিগাড়া-১ পঞ্চায়েতের অধীনে। এখানকার পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণ সরকার বলেন, শুধু নদীর চর নয়। পূর্তদপ্তরের জমিতেও দখল করে বসতি হয়েছে। কে বা কারা এভাবে সরকারি জমিতে বসতি বসিয়েছে এবং কত টাকার বিনিময়ে তার উত্তরে অবশ্য কৃষ্ণবাবুর জবাব, যারা কিনেছে আর যারা বিক্রি করেছে, তারাই বলতে পারবে। আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে নদীর চর ও পূর্তদপ্তরের জমি দখল করে বসতি গড়ে ওঠা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে মৌখিকভাবে আগেই জানিয়েছিলাম।