কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
ওই রাতে বাড়ির একটি ঘরের মেঝেতে বৃদ্ধের মৃতদেহ উবু হয়ে পড়েছিল। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ছেলে দীপক মেহের প্রথম বাবার দেহ উল্টে দেখেন গলার নলি কাটা। রক্তে ভেসে গিয়েছে ঘরের মেঝে। মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল সব্জি কাটার একটি ধারালো চাকু।
এভাবে ওই বৃদ্ধের নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় ধুমচিপাড়া চা বাগানে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও ছেলে দীপক মেহেরের দাবি, তাঁর বাবা আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগানের কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর ওই শ্রমিক সমস্ত টাকাপয়সা পেয়ে গিয়েছিলেন। ওই টাকাতেই তিনি বাড়িতে পাকা ঘর তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। বৃদ্ধের পরিবারে অভাব অনটনও তেমন ছিল না।
ঠিক এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে এই বয়সে ধুমচিপাড়া চা বাগানের ওই বৃদ্ধ চা শ্রমিক কেন আত্মঘাতী হতে যাবেন? তাও আবার নিজের গলার নলি কেটে এমন নৃশংসভাবে? পুলিস অবশ্য বৃদ্ধের মৃত্যুর তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখছে। বৃদ্ধের ছেলের সঙ্গেও কথা বলছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিস মৃতদেহটি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বৃদ্ধের মৃত্যু তদন্তে পুলিস ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপরে জোর দিচ্ছে।
আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, কোনও সম্ভবনাই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।