কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
চা বাগানে জলের সমস্যা মেটাতে ২০২১ সালে পানীয় জলের প্রকল্প গড়া হয়। জলস্বপ্ন প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। চা শ্রমিক প্রদীপ ওরাওঁ বলেন, দু’মাস ধরে জল পাচ্ছি না। তাই তিন কিমি দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। সকাল সকাল জল আনতে গিয়ে সঠিক সময়ে কাজে যেতে পারছি না। ছোটদেরও স্কুলে যেতে দেরি হচ্ছে। আরএক শ্রমিক রামপ্রসাদ নায়েক বলেন, জল সমস্যার কথা স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। আমাদের দাবি, প্রশাসন জল সমস্যা দ্রুত সমাধান করুক।
দেবপাড়া চা বাগানের জল প্রকল্পের পাম্প অপারেটর তুফান কামির কথায়, ২১ ঘণ্টা মেশিন চালানোর পরও জলাধারে জল উঠছে না। এর জেরে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটছে। তাঁর যুক্তি, হঠাৎ করে জলের স্তর অনেক নীচে চলে যাওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বানারহাট-২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাগর গুরুং বলেন, সমস্যার কথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর থেকে শুনেছি। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত জল রিজার্ভারে তোলার জন্য আরও কয়েকটি ঘর নির্মাণের কথা জানাব। জলপাইগুড়ি জেলা পিএইচই’র সহকারী ইঞ্জিনিয়ার অশোক দাস বলেন, জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। আমরা জল তোলার জন্য আরও কিছু পাইপ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেবপাড়া চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়াররা এসে খতিয়ে দেখলে সমস্যা মিটবে।