কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলায় তাদের অধীনে প্রায় ৫০০ কিমি রাস্তা রয়েছে। ছোটবড় মিলিয়ে এই রাস্তার সংখ্যা শতাধিক। এর মধ্যে কোচবিহার শহরেই রয়েছে প্রায় ৭৫টি রাস্তা। ২৭০ মিটার থেকে শুরু করে বেশ কয়েক কিমি দীর্ঘ রাস্তাও রয়েছে। এই রাস্তার দু’ধারে কতটা পরিমাণ জমি রয়েছে, তার অবস্থা কী আছে, কোথাও দখল হয়ে রয়েছে কি না, দপ্তর সেগুলিও দেখে নিতে চাইছে। পূর্তদপ্তরের পরিভাষায় একে ‘রাইট অব ওয়ে’ বলা হয়। সেই কাজই শুরু করেছে তারা।
পূর্তদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মৃন্ময় দেবনাথ বলেন, আমাদের রাস্তাগুলিতে জমি কতটা আছে, তা দেখে নিতে চাইছি। রাস্তা ও জমি ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে, সেটাই এই সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য। কারণ, রাস্তা তৈরি করতে হলে তার জন্য প্রস্তাব তৈরি করতে হয়। সেসময় জমি কতটা আছে, তা দেখে নিতে হয়। এতে ভবিষ্যতে রাস্তা তৈরির কাজ করতে বিশেষ সুবিধা হবে। এক্ষেত্রে কোচবিহার শহরের কেশব রোড থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। শহরের রাস্তাগুলিতে আগে এই সমীক্ষার কাজ চলবে। তারপর একে একে সমীক্ষা হবে সব রাস্তাতেই।
সাধারণত পুরসভা এলাকার অধিকাংশ রাস্তা স্থানীয় পুরসভার অধীনেই থাকে। বড় দু-চারটি রাস্তা থাকে পূর্তদপ্তরের অধীনে। কিন্তু কোচবিহারের ক্ষেত্রে সেই ছবিতে কিছুটা ব্যতিক্রম। কোচবিহার শহরের মাঝে যে বড় বড় চওড়া রাস্তা রয়েছে, সেগুলি রাজ আমলে তৈরি। বর্তমানে এই রাস্তাগুলির দেখভালের দায়িত্বে পূর্তদপ্তর। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা অপেক্ষাকৃত কম চওড়া বা সরু গলি পথগুলি রয়েছে পুরসভার অধীনে।
শহরের কেশব রোড, সুনীতি রোড, বিশ্বসিংহ রোড থেকে শুরু করে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পূর্তদপ্তরের অধীনে থাকায় এগুলির গুরুত্ব আলাদা। ফলে ওই রাস্তাগুলিতে সমীক্ষা চালিয়ে মাপজোখ সহ সমস্ত তথ্য পূর্তদপ্তর নিজেদের কাছে রাখার কাজ শুরু করেছে, যাতে ভবিষ্যতে যে কোনও রাস্তায় কাজ করতে গেলে হাতের নাগালেই যাবতীয় পরিসংখ্যান পাওয়া যায়।