সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
এদিকে জল পড়া নিয়ে মারপিটের ঘটনাতেও লেগেছে রাজনীতির রং। তাতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের। মোবারকপুরের তৃণমূল কর্মী আব্দুস সামাদের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মী শেখ মংলুর পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ। রবিবার রাতে টানা কয়েকঘণ্টা বৃষ্টি হয় চাঁচলে। মংলুর বাড়ির উঁচু ছাউনি থেকে বৃষ্টির জল সামাদের বাড়ির ছাউনি বেয়ে ঘরে ঢুকে যায়। এনিয়ে সোমবার সকালে দুই পরিবারের মধ্যে কাজিয়া শুরু হয়। তা অবশ্য মিটেও যায়। কিন্তু মঙ্গলবার ফের দুই পরিবার নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের উপর বাঁশ, লাঠি ও রড নিয়ে চড়াও হয়। ঘটনায় তেতে ওঠে এলাকা। সংঘর্ষের ঘটনায় রক্তাক্ত হয় দশজন। দুই পক্ষের সাতজনের মাথা ফেটে যায়। জখমদের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সামাদের অভিযোগ, এদিন সকালে বাজারে যাচ্ছিলাম। জল পড়া আটকাতে সোমবার ওদের অনুরোধ করেছিলাম। সেই রাগে এদিন মংলুর পরিবারের মহিলারা আমাকে গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করতেই মংলু ও তার ছেলে সহ ছ’জন আমাকে ঘিরে মারধর করে। পরে ভাইরা আমাকে উদ্ধার করতে আসে। আমরা তৃণমূল সমর্থক। ওরা কংগ্রেসের। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে নানা সময়ে আমাদের সঙ্গে ওরা বিবাদে জড়ায়। এই ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি।
অন্যদিকে, মংলুর বউমা বিলকিস খাতুন পাল্টা অভিযোগ এনেছেন সামাদের পরিবারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, সামাদরাই দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে শ্বশুর, দেওরদের মাথা ফাটিয়েছে। গুরুতর জখম হয়ে ওরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল কর্মী হওয়ায় ক্ষমতার জোর দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আইন সকলের জন্য সমান। তাই আমরা বিচারের আশায় আছি।
তৃণমূল কংগ্রেসের চাঁচল ১ ব্লক কমিটির সদস্য অশোক সাহা বলেন, আমাদের কর্মীর উপর হামলা হয়েছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছি। পাল্টা কংগ্রেসের চাঁচল-১ ব্লক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজি আতাউর রহমানের মন্তব্য, রাজ্যজুড়ে আমাদের কর্মীদের উপরই হামলা চলছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে চাঁচল থানার আধিকারিক বলেন, দুই প্রতিবেশীর পরিবারের মধ্যে বিবাদ হয়েছে। দুই তরফের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মারপিটে জখম তৃণমূল কর্মীর ছেলে। নিজস্ব চিত্র