সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
প্রশাসন জানিয়েছে, বর্তমানে সরকারি নির্দেশে নদী থেকে বালি তোলা বন্ধ আছে। এজন্য বালি উত্তোলন ও পরিবহণের ক্ষেত্রে জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর রয়্যালটি ইস্যু করছে না। তারপরেও রাতের অন্ধকার নামতেই কয়েকশো ট্রাক, ডাম্পার বালি পরিবহণ করছে বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট দপ্তর রয়্যালটি ইস্যু না করার পরেও এত সংখ্যক গাড়ি সড়কে চলছে কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর ও পুলিস প্রশাসন বিষয়টি জানার পরেও পদক্ষেপ করছে না। বালি মাফিয়াদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্তাদের যোগসাজশেই এবং রাজনৈতিক নেতাদের মদতে এই অবৈধ কাজ চলছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ প্রশাসনের কর্তারা।
ইসলামপুরের এক যুবক বাবন দেবনাথ বালি মাফিয়াদের কার্যকলাপ নিয়ে মহকুমা প্রশাসন ও পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বাবনবাবু বলেন, চোপড়া ও ইসলামপুর অঞ্চলে বালি মাফিয়াদের একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। চোপড়ার মহানন্দা ও ডক নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে। রাত হলেই মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়। প্রতি রাতে কয়েকশো গাড়ি বালি পাচার হয়। গাড়ি প্রতি ৮-১০ হাজার টাকা মাফিয়া ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে। ওই টাকার একাংশ মাফিয়ারা নিজেরা রেখে বাকি টাকা অন্যান্য আধিকারিকদের মধ্যে ভাগ করে দিচ্ছে। সেজন্য সরকারি আধিকারিকরা সদর্থক পদক্ষেপ করছেন না। এর ফলে রাজ্য সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
বালি তোলা বন্ধ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য উত্তর দিনাজপুরের এডিএম (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) রবি আগরওয়ালকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এখন মিটিংয়ে আছি। একটু পরে আপনাকে ফোন করছি। এই বলে ফোন কেটে দেন। ফের পরে তাঁকে ফোন করা হয়। কিন্তু কেটে দেন। মেসেজেরও কোনও উত্তর দেননি। চোপড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুবিমল চক্রবর্তী বলেন, মার্চ থেকেই জেলা থেকে চালান অর্থাৎ রয়্যালটি ইস্যু করা হচ্ছে না। আমরা নাকা চেকিং চালাচ্ছি। রয়্যালটি না থাকলে গাড়ির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কোথাও কোনও যোগসাজশ নেই। ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি জবি থমাস বলেন, পুলিস নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। আমাদের নজরে পড়লে কেস করা হচ্ছে। প্রশাসন নজর রাখছে।
চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের হামিদুল রহমান বলেন, প্রশাসন নজরদারি চালাচ্ছে। তবে স্থানীয়রা হয়তো দু-চার গাড়ি বালি এদিক-ওদিক করছে। ঘোষপুকুর থেকেও বালি আসছে। ফাইল চিত্র