বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
শুক্রবার ওই মহিলা বলেন, আমার পরপর তিনটি কন্যা সন্তান হয়েছে। এটা আমার স্বামী কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তৃতীয় সন্তানের জন্মের পর স্বামী আমাকে কিছুতেই বাড়ি নিয়ে যেতে চাইছেন না। তাঁকে জানিয়েই চিকিৎসকরা বাধ্য হয়ে সিজার করেছেন। এখন কন্যাসন্তান হওয়ায় তিনি অজুহাত তৈরি করে বেঁকে বসেছেন। ওই মহিলার স্বামী বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই স্ত্রীর সিজার করা হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগসাজশ করেই এমন ঘটনা আমার স্ত্রী ঘটিয়েছে। আমাকে জোর করে হাসপাতালে ফর্মে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। আগের দুটি সন্তান সিজার ছাড়াই সাধারণভাবে জন্ম নিলেও এই সন্তানের ক্ষেত্রে কেন এধরনের ঘটনা আমার স্ত্রী ঘটাল? তাই আমি আমার স্ত্রীকে আর বাড়িতে তুলব না।
প্রসূতির মা বলেন, তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ার ফলেই আমার জামাই আর মেয়েকে বাড়িতে তুলতে চাইছে না। আমরা অত্যন্ত বিপদে পড়েছি। কন্যা সন্তান হওয়ার জন্যই জামাই আমার মেয়েকে এমন শাস্তি দিচ্ছে। এখন চাপে পড়ে মিথ্যা কথা বলছে।
রায়গঞ্জ পুরসভার মাতৃসদনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক জয়দেব দাস বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর ওই মহিলা আমাদের হাসপাতলে ভর্তি হন। ১০ তারিখে সিজার হয়। তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তারপর থেকেই তাঁর স্বামী তাঁকে নিতে অস্বীকার করছেন। এদিন ওই প্রসূতিকে তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা ছুটি করিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।