হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, সব জেলাতেই প্রশান্ত কিশোরের টিম ঘুরছে। তবে আমাদের জেলাতে এসেছে কি না জানা নেই। তারা এলেও আমাদের কিছু না জানিয়ে আসবে বলে জানি।
শুক্রবার ও শনিবার দিনভর জেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী এলাকা, খাদিমপুর, সুভাষ কর্নার, ডানলপ মোড়, সাহেব কাছারি, তহবাজার সহ শহরের একাধিক এলাকায় কিছু অপরিচিত যুবক-যুবতী বাড়ি বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন এলাকায় কী সমস্যা রয়েছে। বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি রাস্তার মোড়ে মোড়ে খাতাকলম নিয়ে পথচারীদের দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করেন। তাঁদের নাম ঠিকানা নেওয়ার পাশাপাশি শাসক দলের বিদায়ী কাউন্সিলার ও নেতাদের সম্পর্কে একাধিক তথ্য জানতে চাওয়া হয়। শহরের বাসিন্দারা অনেকে বিদায়ী কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকী শৌচাগার থেকে শুরু করে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও অনেকে করেন। এমন সমীক্ষা সামনে আসতেই শাসক দলের নেতাদের অনেকে সেই যুবক-যুবতীদের খোঁজখবর শুরু করেন। তবে কেউ তাঁদের আর সন্ধান পাননি। শাসক দলের নেতাদের সম্পর্কে এমন খোঁজখবর শুরু হতেই প্রশ্ন ওঠে তবে কি প্রশান্ত কিশোরের টিম এই সমীক্ষা চালাচ্ছে?
রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রতিটি জেলায় টিম পিকে ঘুরে ঘুরে সমীক্ষা করছে। যেভাবে ওই যুবক-যুবতীরা শহরের বাসিন্দাদের কাছে শুধুমাত্র বিদায়ী তৃণমূলের কাউন্সিলার ও নেতাদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন তাতে যে তাঁরা টিম পিকে’র সদস্য তা নিশ্চিত। তবে কি পুরসভা ভোটের আগে শহরের নেতাদের খোঁজখবর নিচ্ছে টিম পিকে, এমন প্রশ্নও উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এই সমীক্ষা থেকে আগামী পুরভোটের টিকিট কাকে দেওয়া হবে তা ঠিক হতে পারে। যদিও জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে সেভাবে মুখ খুলতে চায়নি। তবে শহরের অধিকাংশ তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে যেভাবে কাটমানি ও তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তাতে আগামীতে অনেকেই টিকিট পাবেন না বলে তৃণমূলেরই একাংশ মনে করছে।