হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
মাত্র পাঁচ বছরের শিশুকন্যা সমৃদ্ধি কুণ্ডু। ডাকনাম অলি। অলি নামেই খুদে এই সঙ্গীত শিল্পীকে সারা বিশ্বের মানুষ চিনেছেন। অসাধারণ কণ্ঠস্বর, সুর, তাল সবকিছুই যেন রপ্ত করে ফেলেছে রায়গঞ্জের মতো প্রান্তিক শহরে বসবাস করা পাঁচ বছরের শিশু। হিন্দি গানের জগতের বিখ্যাত শিল্পীদের গাওয়া জনপ্রিয় কিছু হিন্দি গান অলির কণ্ঠে রায়গঞ্জের একটি স্টুডিওতে রেকর্ড করা হয়েছে। সেই গানগুলি ইউটিউব, ফেসবুকের মতো স্যোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা ও শোনার সুযোগ হাতছাড়া করছেন না অলির ফ্যানরা। পাকিস্তানের মতো দেশেও অলির ফ্যানের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। অলির দাদু অলিপ মিত্র বলেন, গত জুন মাসে আমার পাঁচ বছরের নাতনি অলির কণ্ঠে ‘পাপ্পা মেরি পাপ্পা’ গানটি প্রথম রিলিজ করতেই প্রায় সোওয়া কোটি দর্শক ও শ্রোতা তার গানটি শোনেন। ‘জো ভেজি থি দুয়া’ গানটি গত ৫ জুলাই রিলিজ হতে না হতেই ইতিমধ্যে ভিউয়ার সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ কোটি। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফাংশনে গাইবার প্রস্তাব আসছে। কিন্তু স্কুলের বাইরে অন্য কোনও ফাংশনে ও গাইবে না। গানের চর্চার পাশাপাশি লেখাপড়ায় যাতে বিভ্রাট না ঘটে সেবিষয়ে যথেষ্ট সজাগ অলির মা আলভা মিত্র কুণ্ডু।
রায়গঞ্জের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে অলি। সম্প্রতি সেই স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে বলা হলে ছোট্ট অলি স্কুলের পডুয়া, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মন জয় করে নেয়। ইতিমধ্যে অলির গাওয়া সাতটি গান রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে। মিষ্টি সেই গানগুলি ভাইরাল হয়ে পৃথিবীর সব দেশেই পৌঁছে গিয়েছে। কোটি কোটি মানুষ অলির প্রতিভাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। স্বাধীনতা দিবসের আগে অলি রায়গঞ্জে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের সঙ্গে দেশের জাতীয় সঙ্গীত যৌথভাবে পরিবেশন করতেই ফ্যানরা অলির কণ্ঠেই পুরো গানটি শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। অলিও তার ফ্যানদের হতাশ করবে না বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।