বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
দলের জেলা কমিটির একাধিক সদস্য এও মনে করছেন, ভোটের পর জেলার বিভিন্ন অংশে দলীয় কর্মীরা বিজেপির হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সময় দলের কর্মীদের হারানো মনোবল ফেরাতে দলের জেলা নেতৃত্বের ব্লকে ব্লকে যাওয়া উচিত। কিন্তু তা না করে জেলা নেতৃত্ব শহরের ঠান্ডা ঘরে বসে বৈঠক করছে। তাই গতবার ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে জেলা থেকে ১৪ হাজার কর্মী গেলেও এবার কত কর্মী যাবে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে দলের অন্দরেই।
দলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, ২১ জুলাই দলের কর্মী সমর্থকের কাছে একটা আবেগের দিন। এবার জেলা থেকে দলের ওই কর্মসূচিতে গত বারের থেকেও বেশি কর্মী নিয়ে যাওয়া হবে। নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ঠান্ডা ঘরে বসে রাজনীতি করার অভিযোগ ঠিক নয়। দলের কোনও কর্মী আক্রান্ত হলেই জেলা নেতৃত্ব ছুটে যাচ্ছে।
যদিও লোকসভা ভোটের পর বিজেপির পালে হাওয়া উঠায় এবং বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণের জেরে দলের ওই কর্মসূচিতে জেলা থেকে এবার কত কর্মী যাবে তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন নানান প্রশ্ন উঁকি মারছে। কারণ লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের পর জেলাজুড়ে শাসক দলের নিচুতলায় দলের সাংগঠনিক কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহে ভাটা পড়েছে। কাটমানির আতঙ্কেও গুটিয়ে আছেন দলের পঞ্চায়েত স্তর থেকে জেলা স্তরের নেতা কর্মীরা। ভোটে হারার পর জেলায় ঘুরে দাঁড়াতে জেলা নেতৃত্ব কেন ব্লকে ব্লকে যাচ্ছে না সেনিয়েও দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
এই অবস্থায় দলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা তথা জেলা নেতৃত্বের কাছে ২১ জুলাই কর্মসূচি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্ব নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই কলকাতায় দলের ওই কর্মসূচিতে এবার রেকর্ড সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁরা আপ্রাণ চেষ্ট শুরু করেছেন।
সেই লক্ষ্যেই এদিন বৈঠকে দলের ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্বকে ১৫ জুলাই প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় মিছিল করে ২১ জুলাইয়ের উন্মাদনা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওইদিন প্রতিটি ব্লক শহরেও একটি করে মিছিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরের দিন ১৬ জুলাই জেলা সদরে আলাদা করে মহামিছিলেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতায় দলীয় ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এখন থেকেই বাস বা ট্রেন ভাড়া করার বিষয়েও আলাপআলোচনা শুরু করে দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব।
২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে এদিনের বৈঠকে অঞ্চল ও বুথ স্তর থেকে নতুন নেতা তুলে আনারও পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। এজন্য এই কর্মসূচির পর বুথ স্তরে দলীয় সদস্য পদ সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে বুথ কমিটি বদলেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
যদিও দলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে জেলা থেকে কত কর্মী সমর্থক নিয়ে যাওয়া যাবে তা নিয়ে দলের জেলা কমিটির একাধিক সদস্যই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কারণ জেলা কমিটির একাধিক সদস্য পরিষ্কার জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে দলের হারে দলের কর্মী সমর্থকরা সাংগঠনিক কাজে একেবারেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে কলকাতায় দলের ওই বার্ষিক কর্মসূচি নিয়ে দলের নিচুতলায় উৎসাহে ভাটার টান লেগেছে।