বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
দলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসম নুর বলেন, আমাদের নেত্রী মালদহ নিয়ে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানেই উন্নয়ন। আবার মালদহে একটি নতুন সাংগঠনিক পরিসরও তৈরি হয়েছে। ফলে উন্নয়ন ও সংগঠন নিয়েই আলোচনা হবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। বৈঠকের প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা খুব আগ্রহের সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষা করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক দাপুটে নেতা বলেন, খুব প্রয়োজনীয় সময়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী ওই বৈঠক ডেকেছেন। সদ্য লোকসভা নির্বাচনের পরে দলনেত্রীর দিশা নির্দেশ খুব প্রয়োজন ছিল। আবার তিনি দলের জেলা সভাপতি, জেলা পর্যবেক্ষক, জেলার চেয়ারম্যান সহ বাছাই জনপ্রতিনিধিদের ডেকেছেন, সেটিও তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা আশা করছি এই বৈঠক জেলার উন্নয়ন থেকে সাংগঠনিক, সমস্ত দিকেই দলের উত্তরণের জন্য কার্যকরী হবে।
লোকসভা নির্বাচনের পরপরই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মালদহের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদল করেন। দলের জেলা সভাপতি পদে তরুণ নেত্রী মৌসম নুরকে যেমন আনা হয় তেমনি জেলার পর্যবেক্ষক পদে মালদহের ক্ষেত্রে এই প্রথমবার দু’জন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব নিয়েই জেলা সভাপতি যেমন সাংগঠনিক ক্ষেত্র মজবুত করতে ময়দানে নেমে পড়েন তেমনি দুই পর্যবেক্ষকও দফায় দফায় জেলা পরিদর্শন করে যান। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের পর্যবেক্ষক ও সভাপতির তরফে তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে কিছু রিপোর্ট জমা পড়ে। তারই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী দলের সভাপতিকে সামনে রেখে একটি বৈঠক করবেন বলে নির্দেশ দেন। আগামী ৯ জুলাই কলকাতায় সেই বৈঠক হবে। বৈঠকে জেলার পর্যবেক্ষক ও সভাপতির সঙ্গে চার জন বিধায়ক, জেলার চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কোথায় সেই বৈঠক হবে তা নির্দিষ্ট না হলেও নবান্নেই ওই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পাশাপাশি, গোটা রাজ্যের সমস্ত জেলার ক্ষেত্রে যেভাবে অধিকাংশ নেতাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করছেন, মালদহের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে ও দলের অন্দরেও চর্চা শুরু হয়েছে। দলের একাংশের দাবি, নতুন সভাপতি হওয়ায় দলের জেলা কমিটি বলে বাস্তবে কিছু নেই। আবার কিছু নেতৃত্বের প্রতি রাজ্য নেতৃত্বের তিক্ত অভিজ্ঞতাও আছে। সেসবই প্রতিনিধি নির্বাচনে গুরুত্ব পেয়েছে। তবে এসবের ঊর্ধ্বে মালদহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলার উন্নয়ন ও দলের জন্য ভালো কিছু ঘটার চর্চাতেই মশগুল।