বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার ভরতলাল মীনা বলেন, অজ্ঞাতপরিচিত ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিন সকালে আরএমসি’তে ওই যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন ব্যবসায়ীরা। এই খবর চাউর হতেই কৌতূহলী বাসিন্দারা ভিড় করেন। প্রধাননগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের মৃতদেহ নগ্ন অবস্থায় ছিল। মৃতদেহের মাথা সহ বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ব্যবসায়ীদের একাংশ বলেন, অন্যান্য দিনের মতো এদিন সকল ৭টা নাগাদ বাজার চালু হয়। কয়েকজন ব্যবসায়ী মৃতদেহ দেখতে পান। প্রধাননগর থানার পুলিস জানিয়েছে, ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের পরিচয় পুলিস জানার চেষ্টা করছে। পুলিস জানিয়েছে বয়স আনুমানিক ৩১ বছর।
যুবকের পরিচয় নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিস জানিয়েছে, পরিচয় জানাতে না পারলেও স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, যুবককে এলাকাতেই ঘোরাঘুরি করতে দেখা যেত। অনেক সময় তাঁকে মহিলা, বৃহন্নলার সঙ্গে দেখা গিয়েছে। বাজার ও জংশন এলাকা থেকে টাকাও তুলত। মৃত যুবকের মাথার চুলে মহিলাদের চুলের ছাঁট ছিল। একটি কানে দুল ছিল। ঠোঁটে লিপস্টিক মাখা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের এক অফিসারের ধারণা, শুধু বৃহন্নলাদের সঙ্গে ঘোরা নয়, সম্ভবত মেয়ে সেজে যুবক নানা অপকর্মেও লিপ্ত ছিল। অবৈধ সেই কারবারের কোনও ঝামেলার জেরেই হয়তো খুন হয়েছে। প্রধাননগর থানার পুলিস বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করতে পুলিস কয়েকজন বিহন্নলার সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কাঠ দিয়ে মাথায় মেরে খুন করেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিসও এমন অনুমান করছে। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি কাঠ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে ওই যুবকের পোশাক উদ্ধার হয়নি। তাই তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশে অন্যত্র খুন করার পর মৃতদেহ আরএমসি’তে দুষ্কৃতীরা ফেলে যায়।