বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বাম-কং বিধায়কদের ১৫ জনের ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান এবং সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। অপরদিকে তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর মণ্ডল, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা প্রবীণ বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়, দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মা সহ একদল নেতা।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর মণ্ডল বলেন, এখানে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ব্যাপার কিছু নেই। ওরা এসেছে সেটা ওদের ব্যাপার। আমরা বিপদ-আপদে সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়াই। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করাটা আমাদের আগাম কর্মসূচি ছিল। মানবিকতার খাতিরে আমরা মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছিলাম। সেইমতো রাজ্য সরকারের আপৎকালীন অনুদান থেকে দুই লক্ষ টাকার চেক মৃতের স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে সবরকম সাহায্যের জন্য রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়াবে বলেও তাঁদের জানানো হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, আমাদের যাওয়ার আগে শাসক দলের প্রতিনিধি দল ওখানে গিয়েছিল। এরমধ্যে প্রতিযোগিতার কোনও বিষয় দেখছি না। তারা যে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে এটা ইতিবাচক দিক। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আমরা সবরকমভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছি। পুলিস যেভাবে অভিযুক্তদের প্রশ্রয় দিচ্ছে তার প্রতিবাদ আমরা করছি। দেশ বা রাজ্যের সুস্থিতি, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করাই আমাদের কাজ। আজকে রাজ্য গণতন্ত্র আর কেন্দ্র ধর্মনিরপেক্ষতার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান বলেন, কোথাও প্রকাশ্যে, কোথাও গোপনে সাম্প্রদায়িকতার মেরুকরণের প্রয়াস চলছে। এরজন্য বহু লোককে প্রাণ দিতে হচ্ছে। আমরা এব্যাপারে মানুষকে সজাগ করার বার্তা দিতে মৃতের গ্রামে গিয়েছিলাম।
গত ২৮ জুন বৈষ্ণবনগর সদরে মোটরবাইক চোর সন্দেহে সানাউল শেখ নামে ওই যুবককে গণপিটুনি দেওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এনিয়ে বেশ কয়েকদিন এলাকার রাজনীতি উত্তপ্ত থাকে। সকলেই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়।
এদিন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে সার্কিট হাউসে মান্নান সাহেব বলেন, দীর্ঘদিন থেকে মালদহের জেলা প্রশাসন বিরোধী দলনেতার প্রতি উপযুক্ত মর্যাদা দেখাচ্ছে না। এদিন স্টেশনে আমার জন্য গাড়ি পাঠানোর কথা। সেই গাড়ি সেখানে যায়নি। আমার আপ্ত সহায়ক ও সচিব জেলাশাসককে ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। আমি নিজে ফোন করেছিলাম। তাও ধরেননি। বাধ্য হয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে আমি ফোন করি। তিনি ঘটনা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। পরে সার্কিট হাউসে গাড়ি পাঠানো হয়। আমরা তা ফিরিয়ে দিয়েছি। এনিয়ে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, গাড়িটির কিছু সমস্যা হয়েছিল। গাড়ির চালক তা আমাকে যথাসময়ে জানাননি। এনিয়ে তাঁর কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। এনিয়ে জেলা প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক সুজিত রায় পরে বিরোধী দলনেতার কাছে গিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছেন।