শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
গণতান্ত্রিক পরিবেশের নিরিখে ভারতের এই পদস্খলন কেন? ‘ফ্রিডম ইন দি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক বার্ষিক রিপোর্টে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি। ওয়াশিংটনের এই থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বিশ্লেষণ, মোদি জমানায় মুসলিম নাগরিকদের উপর বৈষম্যের ধারা অব্যাহত। সরকারের সমালোচক ও সাংবাদিকদের উপর হেনস্তা বাড়ছে। পরিস্থিতি কতটা গুরুতর, তা বোঝাতে চোখা চোখা শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছে। ‘ফ্রিডম হাউস’-এর দাবি, হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার ও তাদের সহযোগীরা ক্রমবর্ধমান হিংসা ও বৈষম্যের রাজনীতিতে মদত দিচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই প্রবণতা অব্যাহত। উদাহরণ হিসেবে ২০২০ সালের অনেকগুলি অযাচিত ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ও দুম করে চাপানো লকডাউনের ফলে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দশার সহ একঝাঁক উদাহরণ টানা হয়েছে।
২০২০ সালের বার্ষির রিপোর্টে সব মিলিয়ে বিশ্বের ২১০টি দেশের মূল্যায়ন করেছে ‘ফ্রিডম হাউস’। রাজনৈতিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার প্রশ্নে ভারত সহ ৭৩টি দেশের অবমূল্যায়ন ঘটানো হয়েছে। এই ৭৩টি দেশে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ মানুষের বাস। গণতান্ত্রিক পরিবেশ ‘মুক্ত নয়’— এমন তকমা পাওয়া দেশের সংখ্যা ২০০৬ সালের পর থেকে এখন সর্বোচ্চ। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র চীন, বেলারুশ বা ভেনিজুয়েলার মতো কর্তৃত্ববাদী দেশেই নয়, নাগরিক স্বাধীনতার অবক্ষয় হয়েছে ভারত ও আমেরিকার মতো গণতান্ত্রিক দেশগুলিতেও। ভারত ‘আংশিক অবাধ’ দেশের তালিকায় চলে আসায় বিশ্ব জনসংখ্যার ২০ শতাংশেরও কম মানুষ বর্তমানে ‘অবাধ’ গণতান্ত্রিক পরিবেশে রয়েছেন। ১৯৯৫ সালের পর থেকে যা সবচেয়ে কম।