অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
এদিকে, বরিস জনসন সরকার সাফ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য একাধিকবার খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর মান এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনও ফাঁক রাখা হয়নি। সব দিক থেকে নিশ্চিত হওয়ার পরই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত ট্রায়াল শেষ হওয়ার পর গত ১৮ নভেম্বর টিকা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছিল ফাইজার-বায়োএনটেক। তারা জানায়, এই টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
আগামী সপ্তাহ থেকে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হলেও সংক্রমণ ঠেকাতে কোনওরকম ঢিলে দিতে চাইছে না ব্রিটেন। সেই কারণে বুধবার থেকে ত্রিস্তরীয় লকডাউন ঘোষণা করেছে বরিস জনসন সরকার। অর্থাত্ ব্রিটেনের সিংহভাগ এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে থাকার মেয়াদ আরও এক দফা বেড়ে গেল। এদিন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, অন্ধকার রাতের শেষে নতুন ভোর দেখতে পাচ্ছি। একই সঙ্গে কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলারও বার্তা দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, ২০২০ সাল খুব কঠিন পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়েছে। তবে ২০২১ অবশ্যই অনেক ভালো খবর নিয়ে আসবে।
জানা গিয়েছে, গণ টিকাকরণের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরিস সরকার। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সবার আগে টিকা দেওয়া হবে। মাথা পিছু দু’টি ডোজ হিসেবে খুব শীঘ্রই সবমিলিয়ে এক কোটি ডোজ চলে আসার কথা। ২০২১-এর মধ্যে ৪ কোটি ডোজের বরাত দেওয়া হয়েছে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাকে। এগুলি চলে এলে দেশের বেশির ভাগ মানুষকেই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এই ভ্যাকসিন রাখা এবং তা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ঝক্কি অনেক। হিমাঙ্কের নীচে ৭০ ডিগ্রিতে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনকে সংরক্ষণ করতে হবে।