কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
আগামী ২১-২৩ অক্টোবর এফএটিএফের ভার্চুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানেই ২০১৯ সালের অক্টোবরের মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশন রিপোর্টের ভিত্তিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে খবর। এদিকে, এফএটিএফের কোপ থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তালিবান ও হাক্কানি জঙ্গি নেটওয়ার্কের উপর প্রভাব খাটিয়ে আফগানিস্তানে সংঘর্ষ বিরতিতে সমঝোতা করার চেষ্টা চালাতে পারেন। এমনটাই মনে করছে পাকিস্তানের পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, চলতি বছর বড়দিনের আগেই আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হবে মার্কিন বাহিনী।
এই পরিস্থিতিতে এফএটিএফকে নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ইসলামাবাদ। কিন্তু বাস্তব হল, পাকিস্তানের জয়েশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তোইবার মতো জঙ্গি সংগঠন লাগাতার জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে পাঠানকোট হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কাসিম জান জয়েশ-ই মহম্মদেরই সদস্য। পাশাপাশি, সে জম্মু ও কাশ্মীরের হামলার ঘটনার মূলচক্রীও বটে। এ দেশে স্লিপার সেলও রয়েছে তার। অন্যদিকে, লস্কর-ই-তোইবার সহ প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের ছেলে তালহা ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যাকলাপের ছক কষতে সক্রিয় বলে জানা গিয়েছে।
এর আগেও অভিযোগ তোলা হয় যে, বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পাকিস্তানে কাজ করছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের অর্থ সরবরাহ করা হয়। ইসলামাবাদ সম্পর্কে মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশন রিপোর্টে আরও বলা হয়, সে দেশে অর্থ পাচারের পাশাপাশি মাদক, জালিয়াতি, মানব পাচার, চোরাচালান, কর ফাঁকি সহ নানা সংগঠিত অপরাধ ঘটে চলেছে।