অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
তবে, গোটা বিশ্বের নিরিখে করোনা সঙ্কট এখনও কাটেনি। শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ লক্ষ ছাড়িয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লক্ষ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ। পাশাপাশি, মারণ ভাইরাসের মোকাবিলা করতে গিয়ে বেশিরভাগ দেশেরই আর্থিক অবস্থা বেহাল। সমস্যায় পড়েছে বড় সংস্থাগুলিও। কর্মহীন হয়ে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ। শুধু আমেরিকাতেই কর্মহীন হিসেবে নাম নথিভুক্তকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ছাড়িয়েছে। ফ্রান্সেও বেকারত্বের হার ২২ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে, আর্থিক ধাক্কা সামাল দিতে ব্রিটিশ উড়ান সংস্থা ইজিজেট ৩০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে। জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা নিসান জানিয়েছে, তাদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬.২ বিলিয়ন ডলার। সেইসঙ্গে, স্পেনের কারখানাও গুটিয়ে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।
অন্যদিকে, আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা। সরকারি হিসেবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে প্রাণ হারিয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৫৭৩ জন। আক্রান্ত প্রায় ১৭ লক্ষ ১৬ হাজার। অন্যদিকে, ব্রাজিলে বৃহস্পতিবার ২৪ হাজারের বেশি মানুষ মারণ ভাইরাসের শিকার হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৭। এপর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার
এবং ২৬ হাজার ৭৬৪। পাশাপাশি, রাশিয়াতেও শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৩২ জনের। দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর একদিনের হিসেবে এই মৃত্যুহার সর্বোচ্চ।
তবে, ফ্রান্স, ব্রিটেন সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেও করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় লকডাউন আরও শিথিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন। সামনের সপ্তাহ থেকে ফ্রান্সে বার, রেস্তরাঁ, মিউজিয়াম খুলতে চলেছে। ব্রিটেন সরকারও ধীরে ধীরে স্কুল, দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
বরিস জনসন করোনা-যুদ্ধে মৃত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি এনএইচএস কর্মীদের হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান। থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াও লকডাউন শিথিল করার কথা ঘোষণা করেছে।