ওয়াশিংটন ও লাহোর, ১২ ডিসেম্বর (পিটিআই): হাফিজ সইদ নিয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াল আমেরিকা। জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি) প্রধান সইদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুক ইসলামাবাদ। ২০০৮ মুম্বই হামলার মূলচক্রীর সাজা নিয়ে পাকিস্তানকে এমনই নির্দেশ দিল আমেরিকা। সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য মামলায় হাফিজ ও তার তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধে চার্জ এনেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সইদ ও তার সঙ্গীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাল ওয়াশিংটন।
বুধবার নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জেইউডি সুপ্রিমো হাফিজ এবং তার তিন সঙ্গী হাফিজ আব্দুল সালাম, মহম্মদ আশরফ এবং জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে অর্থ সাহায্যের অভিযোগ এনেছে লাহোরের সন্ত্রাসদমন আদালত। বৃহস্পতিবার পাক প্রশাসনের সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় আমেরিকা। তারপরেই মুম্বই হামলার মূলচক্রীর যাতে দ্রুত বিচার হয়, সেজন্য ইসলামাবাদকে নিশ্চিত করতে বলে ওয়াশিংটন। এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া প্রদেশের কার্যনির্বাহী সহকারী সচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনে সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য বন্ধ করতে অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার করুক পাকিস্তান। ২৬/১১ নাশকতার ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি চাই।’
এদিকে, হাফিজদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে অর্থ সাহায্যের অভিযোগ আনা হলেও এদিন আইনজীবীদের ধর্মঘটের জের তাদের আদালতে যায়নি। ফলে শুক্রবার পর্যন্ত মামলাটি মূলতবি করে দেন লাহোরের জঙ্গিদমন আদালতের বিচারক আরশাদ হুসেন ভুট্টা। পরে আদালতের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আইনজীবীদের ধর্মঘটের জেরে সইদ বা বাকি তিন অভিযুক্তদের বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা যায়নি।’
অন্যদিকে হাফিজ সইদ, জেইউডির ৬৭ নেতা এবং তাদের সমাজসেবী সংস্থা ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত (এফআইএফ)-এর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খাকিজের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে লাহোর হাইকোর্ট। জঙ্গি সংগঠনগুলিকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সাহায্য প্রদানের অভিযোগে জেইউডি এবং এফআইএফ বিরুদ্ধে ২৩টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই মামলাগুলি যাতে খারিজ করে দেওয়া হয়, সেজন্য লাহোর হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন এক মামলাকারী। কিন্তু, বুধবার বিচারপতি মহম্মদ কাসিম খানের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।