দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মার্চ মাসেই রাজ্যগুলির ভাগের টাকা কমানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিতে পারে। এরপর এবিষয়ে সরকারের তরফে সুপারিশ যাবে অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পানাগরিয়ার নেতৃত্বাধীন অর্থ কমিশনের কাছে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অর্থ কমিশন সরকারের সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়ে দেবে। রয়টার্স-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষ থেকে রাজ্যগুলির ভাগের টাকা কমানোর পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্র।
১৯৮০ সালে কেন্দ্রের কাছ থেকে মোট সংগৃহীত করের ২০ শতাংশ টাকা ভাগ হিসেবে পেত রাজ্যগুলি। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৪১ শতাংশ। বিভিন্ন রাজ্যের তরফে সেই ভাগের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার দাবি তোলা হচ্ছে। কিন্তু সেই দাবির উল্টো পথে হেঁটে কেন্দ্র কেন ভাগের টাকা আরও কমাতে চাইছে? সূত্রের খবর, অর্থনীতির শ্লথ গতির আবহে বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ বেড়েছে। মূলত সেই কারণেই রাজ্যগুলির ভাগের টাকা কমিয়ে সেই অর্থ নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে মোদি সরকার।
করের ভাগ এবং কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আর্থিক সম্পর্কের দিশা নির্ধারণে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে অর্থ কমিশন। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যগুলির ভাগের টাকা কমাতে অর্থ কমিশনের কাছে প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে মোদি সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করছেন, ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখছে মোদি সরকার। বিরোধী শাসিত অন্য রাজ্যগুলিও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ আনছে। আবার বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির পাশাপাশি এনডিএ শসিত কিছু রাজ্যও ভাগের এই টাকা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার দাবি তুলছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যদি সত্যিই কর বাবদ ভাগের প্রাপ্য টাকা কমানোর পথে হাঁটে, তাহলে বিরোধী রাজ্যগুলির সঙ্গে মোদি সরকারের সংঘাত আরও তীব্র হবে বলেই আশঙ্কা।