আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
পদ্মপুকুরের বাগপাড়ার বাসিন্দা স্বপন ও সীমা দেব। স্বপনবাবু একটি গেঞ্জি কারখানার কর্মী। রাজীব তাঁদের একমাত্র সন্তান। কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ার সময় তাঁর কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়। কিডনি দিয়েছিলেন মা সীমাদেবী। এসএসকেএম হাসপাতালেই হয়েছিল সফল অস্ত্রোপচার। তারপর থেকে রাজীব ভালোই ছিলেন। কলেজ পাশ করে কম্পিউটারের ডিগ্রি নিয়ে নেমে পড়েছিলেন পুরোদস্তুর জীবনযুদ্ধে। সম্প্রতি তাঁর নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়। গত ২ আগস্ট রাজীবকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়। পরিবারের দাবি, ভর্তির পর থেকে ঠিকঠাক চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু স্বাধীনতার দিবসের পরদিন থেকে সব কিছু বদলে গেল। ডাক্তারবাবুরা অনিয়মিত হতে শুরু করলেন। শেষের দিকে তো কোনও চিকিৎসাই হয়নি। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য অসহায় মা যত বার কাতর আর্তি জানিয়েছেন, ততবারই শুনতে হয়েছে একই জবাব— ডাক্তার নেই! বাবা স্বপন দেব বলেন, ‘মায়ের কোল খালি হওয়ার যন্ত্রণা বুঝি। ওই ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিত। কিন্তু যে আন্দোলন অন্য মায়ের কোলও খালি করে দিতে পারে, সেই আন্দোলনের যুক্তিটা শুধু বুঝতে পারিনি আজও। আমরা এনিয়ে কোথাও কোনও অভিযোগ করিনি। আমাদের অভিযোগ আজকের প্রতিবাদী সমাজের সবার কাছেই।’ সন্তানকে প্রতিদিন একটু একটু করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেও কিছু করে উঠতে পারেননি প্রৌঢ় দম্পতি। এখন তাঁদের সঙ্গী শুধু চোখের জল আর মৃত সন্তানের ছবি!
পরিবারের এই অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য পিজির সুপার পীযূষকান্তি রায় ও ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হলেও তাঁরা ধরেননি। মেসেজ করা হলেও কোনও জবাব মেলেনি। তবে নেফ্রোলজি বিভাগের এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ ভিত্তিহীন। যুবক হেপাটাইটিস সি, টিবিতে আক্রান্ত ছিলেন। অত্যন্ত খারাপ অবস্থা ছিল। বিভাগের চিকিৎসকরা কাজ করছেন না, এটা একদম ঠিক নয়।’ এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে, ‘চিকিৎসকদের আন্দোলন কোনও রোগীর জীবনের বিনিময়ে চলতে পারে না। এই মৃত্যু আটকানো যেত।’