আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
গত ৯ আগস্ট সকালে তরুণীর দেহ পড়ে থাকার খবর শুনে সেমিনার হলে হাজির হয়েছিলেন একাধিক ডাক্তার। তরুণীর সঙ্গে ডিউটিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ‘দিদির’ একাধিক জিনিসে হাত দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম স্মার্টফোনটি। সেটি তুলে নেন এক প্রভাবশালী ডাক্তার। তারপর সোজা গিয়ে হাজির হন প্রাক্তন অধ্যক্ষের চেম্বারে। সেখানে হাজির ছিলেন সন্দীপবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটার। টেকস্যাভি ওই ব্যক্তি নির্যাতিতার ফোনের পাসওয়ার্ড খুলে সেটিকে হাসপাতালের কম্পিউটারের সঙ্গে ‘কানেক্ট’ করেন। সিবিআই জেনেছে, ফোনে লক করে রাখা ফাইলগুলি খুলে পড়তে শুরু করেন ওই ডাক্তার ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ। ফাইলগুলি ‘কপি’ করে রাখা হয়। পরে তা আবার অনলাইনে পাঠানো হয় অজানা একটি নম্বরে। এসব কাজ শেষে নির্যাতিতার স্মার্টফোন থেকে নির্দিষ্ট কিছু ফাইল এবং ভিডিও মুছে দেওয়া হয় বলে খবর। সিবিআইয়ের দাবি, গোটাটাই করা হয়েছে সন্দীপের নির্দেশে। কাজ শেষে স্মার্টফোনটি রেখে আসা হয় সেমিনার হলে। কারও আঙুলের ছাপ যাতে না মেলে তাই প্রভাবশালী ওই চিকিৎসকের নির্দেশমতো একাধিক ব্যক্তি সেটি হাতে নিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, হাসপাতাল সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি রাখা ছিল ওই স্মার্টফোনে। সেগুলি বাইরে এলে বিপদে পড়তেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। ফোন থেকে নথি-ভিডিও ডিলিট করার বিষয়টি ফরেন্সিক রিপোর্টে ধরা পড়েছে। ‘ডিলিটেড ফাইলগুলি’ পুনরুদ্ধারও করে ফেলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে কী বিস্ফোরক তথ্য রয়েছে? তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না এজেন্সি।