আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
রেলে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত খতিয়ান জানতে চেয়ে আরটিআই আইনে আবেদন জানিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর গৌড়। বিগত পাঁচ বছরে দুর্নীতি এবং ঘুষ সংক্রান্ত কত অভিযোগ রেলের কাছে জমা পড়েছে? মূলত এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েই আর্জি জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি তাঁর জিজ্ঞাস্য ছিল, এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটিও স্পষ্ট করা হোক। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সেই আবেদনের জবাবে একমাত্র দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের সর্বমোট সংখ্যার হিসেবই দিয়েছে রেল বোর্ড। তারা জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ‘করাপশন ক্যাটিগরি’তে রেল-মদত প্ল্যাটফর্মে মোট ৩০ হাজার ২৬৬টি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট জবাব দেওয়া হয়নি তাদের তরফে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, রেলে দুর্নীতি রোধে অশ্বিনী বৈষ্ণবের মন্ত্রক আদৌ সচেষ্ট তো?
মন্ত্রকের জবাবে দেওয়া পরিসংখ্যানেও চমকে উঠছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের ব্যাখ্যা, শুধুমাত্র রেল-মদদেই যদি পাঁচ বছরে ৩০ হাজারেরও বেশি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ে, তাহলে মন্ত্রকের অন্যান্য ব্যবস্থা মিলিয়ে এই অভিযোগের সংখ্যা কত? কারণ, রেলের সরকারি নম্বর ১৩৯-এ ফোন করেও এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে পারেন সাধারণ মানুষ। পাঠাতে পারেন ই-মেল। কিংবা ডাকযোগেও আসতে পারে লিখিত অভিযোগ। সমস্ত সূত্রে প্রাপ্ত অভিযোগের সংখ্যা গুণতে বসলে তা কোথায় পৌঁছবে? এটা ভেবেই কোনও কুলকিনারা পাচ্ছেন না রেল বিশেষজ্ঞরা। তিন বছর আগে অশ্বিনী বৈষ্ণব মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পরই রেল জানিয়েছিল, প্রতি তিন দিনে একজন দুর্নীতিপরায়ণ আধিকারিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে! সেই পরিস্থিতি কি এখনও রয়েছে? উত্তর মিলছে না।