আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
কী ধরা পড়েছে? কাজ হয়েছে কি, হয়নি, তা না জেনেই খরচ হয়ে গিয়েছে টাকা। দেওয়াই হয়নি ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট। কত টাকার? সরকারি তথ্য বলছে, ১৯টি দপ্তরের কাজের বরাদ্দে খরচ হয়ে গিয়েছে ১০ হাজার ৪০৭ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। অথচ তার কোনও ব্যবহারিক শংসাপত্রই নেই। কবে থেকে চলছে এই গাফিলতি? নথি বলছে, সেই মোদি জমানা থেকে। পশ্চিমবঙ্গে নারেগার কাজে যথার্থ ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নেই অজুহাতে দিনের পর দিন প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ মোদির নিজের রাজ্যের নয়ছয় আর গাফিলতিতে দরাজ হস্ত। এই দ্বিচারিতা কেন? জবাব কে দেবে? নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হন ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর। আর যথার্থ কাজ হয়েছে কি না, তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না দেওয়ার ঘটনা ঘটছে ২০০১-০২ আর্থিক বর্ষ থেকে। চলছে এখনও। ২২ বছর। কৃষি, কৃষক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সড়ক, নারী ও শিশু, শ্রম, বন্দর, নর্মদার জল, আদিবাসী উন্নয়ন, নগরোন্নয়নের মতো ১৯ দপ্তরের কাজে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। অথচ সেই ৩ হাজার ৭৩২টি কাজের কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট রাজ্যের অর্থদপ্তরকে দেওয়া হয়নি।
এখানেই শেষ হয়। আর্থিক নয়ছয়ের ঘটনাও সামনে এসেছে। অথচ তার বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নয়াদিল্লিতে ক্যাগের সদর দপ্তরে আসা গুজরাতের এই রিপোর্ট পেশ হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। উল্লেখযোগ্য বিষয়, বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিরও এ ব্যাপারে কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই। কত টাকা নয়ছয়ের হিসেব পেয়েছে ক্যাগ? তথ্য বলছে, ২৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। কৃষি, স্বাস্থ্য, খাদ্য, শিক্ষা, পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়নের মতো ১৯ দপ্তরের কাজে এই নয়ছয়ের নথি সামনে এসেছে। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, ১৬৮ টি মামলায় এই আর্থিক নয়ছয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই হয়নি। ৭৭টি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে ২৫ বছর ধরে। ৬১টি মামলা আদালতে থাকলেও বাকি গুলির কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি গুজরাতের বিজেপি সরকার। তাই ক্যাগের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি রাজ্য গুজরাত। রিপোর্ট বলছে, এভাবে টাকার নয়ছয়, কাজের ব্যবহারিক শংসাপত্র না দেওয়ার বিষয়টি আদতে অর্থনীতিকে দুর্বল করে। সরকারের কেন নজরদাারি নেই? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ক্যাগ। সরকারিস্তরে গাফিলতির নিন্দা করা হয়েছে। তাই মোদির সময়কাল থেকে পড়ে থাকা কাজের হিসেব নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলে উঠছে প্রশ্ন।