কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
এদিন রীতিমতো আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছে রায়বেরিলির সাংসদকে। তীক্ষ্ম ভাষায় আক্রমণ করেন মোদি, বিজেপি ও আরএসএসকে। তাঁর আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি অধ্যক্ষও। বলেন, ‘অধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ার পর আপনি যখন আসন গ্রহণ করেন, তখন আপনার কাছে আমি গিয়েছিলাম। আমি যখন আপনার সঙ্গে করমর্দন করলাম, তখন আপনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু আমি দেখলাম, মোদিজি যখন আপনার সঙ্গে করমর্দন করেন। তখন কিন্তু আপনি ঝুঁকে পড়েন।’
রাহুলের এই মন্তব্যের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই সভার নেতা। আর নিজের সংস্কৃতির কাছে যে সহবৎ শিখেছি, তাতে গুরুজনদের সামনে মাথা নোয়াতে হয়। দরকারে পাও স্পর্শ করতে পারি।’ কিন্তু এই জবাবে সন্তুষ্ট হননি বিরোধী দলনেতা। পাল্টা যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনার বক্তব্যকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এই সভায় স্পিকারের চেয়ে কেউ বড় নন। আমাদের সকলেরই আপনার সামনে মাথা নত করা উচিত। গণতন্ত্রে আপনিই সভার অভিভাবক। আপনার কথাই সদনে শেষ কথা। আপনার কারও কাছে মাথা নত করা উচিত নয়।’ এদিন নিট প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে গিয়েও স্পিকারের সমালোচনা করেন রাহুল। তিনি আলোচনা করার সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। যদিও স্পিকার বলেন, মাইকের সুইচ তাঁর কাছে থাকে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করার সময়ও স্পিকারের সঙ্গে বাক্য-বিনিময় হয় বিরোধী দলনেতার। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে রাহুল বলেন, ওনার সঙ্গে তো সরাসরি ভগবানের কথা হয়। একদিন রাত ৮টার সময় ভগবানের সঙ্গে ওনার কথা হয়। আর উনি নোটবাতিলের কথা ঘোষণা করেন। রাহুলকে থামাতে গিয়ে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান দিন। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা রাহুল বলেন, এটা আমার কথা নয়, প্রধানমমন্ত্রীরই কথা।