কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
বললেন, আমাকে ভয় দেখাতে পারবেন না। চুপ করাতেও পারবেন না। আমাকে চুপ করাতে গিয়ে তো বিজেপির একের পর এক হার হয়েছে। গত বছর তাঁর সাংসদ পদ খারিজ প্রসঙ্গ মনে করিয়ে খোঁচা দিলেন মহুয়া। বললেন, মোদির অহংকারের সাজা পেয়েছে বিজেপি। ৬৩ জন এমপি হেরেছেন। ঠিক যেভাবে অতি দর্পে হত লঙ্কা।
পরিসংখ্যানের পাঠ পড়িয়ে শুনিয়ে দিলেন, অযোধ্যা থেকে শুরু করে চিত্রকূট, শ্রাবস্তী, কৃষ্ণনগর, বারাসত, আরামবাগ, পাতিয়ালার মতো যেসব কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি প্রচারে গিয়েছেন, সেখানেই হেরেছেন। বাংলা, উত্তরপ্রদেশ আর মহারাষ্ট্র সবক শিখেয়েছে বিজেপিকে। এই তিন রাজ্যের মোট ১৭০ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৫৪। বাংলায় ২৩ বার প্রচার গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার মধ্যে ২০টি কেন্দ্রে হেরেছেন। মহারাষ্ট্রে যে ১৮ আসনে প্রচার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তার মধ্যে ১৫টিতে হেরেছে এনডিএ।
অভিযোগের সুরে মহুয়া বললেন, গত বছর ৯ নভেম্বর লোকসভা কার্যত কুরুসভায় পরিণত হয়েছিল। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রর সভায় যেভাবে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হয়েছিল, একইভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সাংসদ পদ খাজির করা হয়েছিল। তবে দ্রৌপদীকে যেমন রক্ষা করেছিলেন ভগবান কৃষ্ণ। একইভাবে আমাকে ফের সংসদে পাঠিয়েছেন কৃষ্ণনগরের মানুষ। ভারতে তেত্রিশ কোটি দেবতা থাকলেও সর্বশ্রেষ্ঠ দেবতা, গণদেবতা। তারাই শিক্ষা দিয়েছে বিজেপিকে। সমর্থন দিয়েছে আমাদের।
রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজেপিকে এক হাত নেন মহুয়া। বলেন, মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে বিজেপি বড় বড় কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে তাদের সম্মান দেয় না। মহিলাদের ভয় পায় বিজেপি। জায়গা ছাড়তে চায় না। সেই কারণেই ২৪০ সাংসদের মধ্যে মাত্র ৩০ জন মহিলা। শতাংশের হারে যা মাত্র সাড়ে ১২। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল ৩৮ শতাংশ। বিজেপিকে বিঁধতে মহুয়া তোলেন বাংলার বঞ্চনার কথাও। বলেন, নারেগা থেকে আবাস সহ অন্যান্য ১৬ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছেন। তা চাইতে গেলে আমাদের পুলিস ভ্যানে বন্দি করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির সরকারকে দাম্ভিক, স্বেচ্ছাচারী বলে তোপ দাগেন মহুয়া। ছবি: পিটিআই