সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
যদিও এই ঘটনায় সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয়টি সামনে এসেছে এদিন। নিহত অনীশের আত্মীয় এবং মহারাষ্ট্রের বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, থানায় ১৪ ঘণ্টা কার্যত ‘জামাই আদরে’ রাখা হয়েছিল অভিযুক্তকে। খাওয়ানো হয়েছিল পিৎজা, বার্গার এবং বিরিয়ানি। তারপরই জামিন হয়ে যায় ওই নাবালকের। অনীশের এক তুতো ভাই পরস সোনি বলেছেন, ‘সেদিন থানায় গিয়ে দেখলাম, ভিআইপির মতো খাতির পাচ্ছিল অভিযুক্ত। ওকে পিৎজা পরিবেশন করা হচ্ছিল। স্থানীয় এক বিধায়কও এসেছিলেন।’ শিবসেনা উদ্ধব থ্যাকারে শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘দু’জনের জীবন নেওয়া এক ধনী বালককে সহায়তা করেছে পুনে পুলিস। আপনারা তাঁকে পিৎজা-বার্গার, বিরিয়ানি কেন দিলেন? ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নাবালক মদ্যপ ছিল। তবে তার মেডিক্যাল রিপোর্ট কীভাবে নেগেটিভ এল? কে অভিযুক্তকে সাহায্য করছে? পুলিস কমিশনারকে সরানো হোক, না হলে পুনের মানুষই রাস্তায় নামবে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের দলের বিধায়ক সেই সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন। একই দাবি মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্র ধাঙ্গেকরের। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুনের পুলিস কমিশনার অমিতেশ কুমার। তিনি বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে অভিযুক্তকে সহায়তা করার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
এদিন ভোর ৩টে নাগাদ মধ্যপ্রদেশের ঊর্মিলা জেলায় বীরসিংরপুর গ্রামে পৌঁছয় ২৪ বছরের অনীশের দেহ। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজন থেকে প্রতিবেশীরা। কাকা অখিলেশ আওয়াধিয়ার অভিযোগ, ‘অভিযুক্ত নাবালক মদ খেয়ে ঘণ্টায় ২৪০ কিমি বেগে গাড়ি চালাচ্ছিল। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটা খুন।’ সোমবার রাতেই অশ্বিনী কোস্তার দেহ পৌঁছেছিল জব্বলপুরে। তাঁর কাকা যুগল কিশোর বলেছেন, ‘আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।’