উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
দেশের অন্য যে পাঁচটি শাখায় হাইস্পিড রেল করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল দিল্লি-জয়পুর-উদয়পুর-আমেদাবাদ (৮৮৬ কিলোমিটার), মুম্বই-নাসিক-নাগপুর (৭৫৩ কিলোমিটার), মুম্বই-পুনে-হায়দরাবাদ (৭১১ কিলোমিটার), চেন্নাই-বেঙ্গালুরু-মাইসুরু (৪৩৫ কিলোমিটার) এবং দিল্লি-চণ্ডীগড়-লুধিয়ানা-অমৃতসর (৪৫৯ কিলোমিটার)। অর্থাৎ, বাংলার সঙ্গে যে হাইস্পিড রেল করিডর প্রকল্প জুড়তে চলেছে, সেটিই দেশের মধ্যে সবথেকে দীর্ঘ হাইস্পিড রেল করিডর হিসেবে তৈরি করতে চলেছে রেলমন্ত্রক। কারণ বর্তমানে জাপানের সহযোগিতায় যে মুম্বই-আমেদাবাদ হাইস্পিড রেল প্রকল্প তৈরি হয়েছে, তার দৈর্ঘ্য ৫০৮ কিলোমিটার।
রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, ডিপিআরের মাধ্যমে উল্লিখিত প্রকল্পগুলির অর্থনৈতিক দিক বিচার করা হবে। একইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলির প্রযুক্তিগত বিষয়ও। প্রস্তাবিত রুটে ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালাতে কোনও ধরনের প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে কি না—তা দেখতে চায় রেলমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, হাইস্পিড রেল করিডরের পাশাপাশি সারা দেশে বেশ কয়েকটি সেমি হাইস্পিড রেল করিডর তৈরিরও পরিকল্পনা করছে রেল বোর্ড। সরকারি সূত্রে খবর, প্রতিটি প্রকল্পই তৈরি হবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে। সেমি হাইস্পিড রেল করিডরের ক্ষেত্রে ট্রেনের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১৬০-২০০ কিলোমিটারের মধ্যে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি আরও বাড়ানোর কথা বলছে রেলমন্ত্রক। ইতিমধ্যে দিল্লি-কলকাতা এবং দিল্লি-মুম্বই রুটে ট্রেনের গতি বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনও মিলেছে। এই দুই রুটে প্রথম পর্যায়ে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে এবং পরবর্তী ধাপে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হবে। ট্রেনের এই গতি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এবার দেশজুড়ে আরও হাইস্পিড রেল করিডর তৈরির পথে হাঁটছে মন্ত্রক।