উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
চর্মশিল্পের গুণমান বজায় রাখা এবং বিদেশে রপ্তানি সংক্রান্ত একটি প্রকল্প গড়ে উঠবে বানতলা চর্মনগরীতে। এই প্রকল্পে ৮০ শতাংশ বিনিয়োগ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ৪ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২৯ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা)। মূলত চর্মশিল্পে রাসায়নিক ব্যবহার করে গুণমান উন্নত করা এবং বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্র্যাকিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য ইতালি থেকে প্রশিক্ষণের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বানতলা চর্মনগরী বিশ্বের সেরা চর্মশিল্প কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম। এখানে বাংলা তো বটেই, ভিনরাজ্যের শিল্পদ্যোগীরা বিনিয়োগ করছেন। সাড়া মিলেছে চেন্নাই ও লখনউ থেকে। এই বিনিয়োগের পর বানতলার প্রকল্পে মোট লগ্নির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৮০ হাজার কোটি টাকায়। প্রায় ৫ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি, পূর্ব মেদিনীপুরে দীঘার কাছে ২০০ মেগাওয়াট একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাসও হল এদিন। ১,২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে মূল বিনিয়োগকারী জার্মানির সংস্থা কেএফডব্লু। তারা ১,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে। বাকি ২০০ কোটি টাকা দেবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এই সৌরবিয্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। এই কোভিড পরিস্থিতিতেও রাজ্যকে সচল রাখার বিষয়ে সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইতালি এবং জার্মানির প্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের স্থান সারা দেশে শীর্ষে, এই দাবিও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, করোনার কারণে রাজ্যে ফিরে বাঙালি তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য ‘কর্মভূমি’ নামে একটি প্রকল্প হাত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মাত্র তিন মাসে সেই প্রকল্পে ৩৭ হাজার জন নাম নথিভুক্ত করেছেন। তার মধ্যে ৩,০০০ জন চাকরি পেয়ে গিয়েছেন বলেই এদিন দাবি করেছেন রাজ্যের অর্থ, শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অমিত মিত্র। সিআইআই আয়োজিত এক সভায় তিনি আরও বলেন, ২৪ হাজার আবেদনকারীর চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে রাজ্যের অপেক্ষাকৃত ছোট শহরগুলিতে বিনিয়োগের জন্যও আহ্বান করেছেন অমিতবাবু। রাজ্য ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি, কল্যাণী বা দুর্গাপুরের মতো বিভিন্ন শহরে ১৭টি তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক বানিয়েছে। আরও পাঁচটি পার্ক আসতে চলেছে। পাশাপাশি রাজারহাটের সিলিকন ভ্যালিতে যে দু’শো একর জায়গা আছে, সেখানেও লগ্নির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।