প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
শনিবার বেলা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দুটি মৃত্যুহার হল যথাক্রমে ইতালি এবং স্পেনের। প্রথম বিশ্বের দুই ধনী দেশের। দুই দেশেই আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা সেই সময় ছিল যথাক্রমে—৮৬ হাজার ৪৯৮ জন ও ৯১৩৪ জন এবং ৬৫ হাজার ৭১৯ এবং ৫১৩৮ জন। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডে এই মৃত্যুহার যথাক্রমে ৩১ এবং ২৮। করোনা আক্রান্তের তালিকায় এক নম্বরে উঠে আসা আমেরিকায় এই হার ৫, চীনে ২।
অন্যদিকে, শনিবার বেলা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১৯৯টি দেশের মধ্যে বড় দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম মৃত্যুহার ভারতে— .০১ শতাংশ। বড়-ছোট মিলিয়ে দু’নম্বরে। প্রথম স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়া। রাশিয়ার (.০৩ শতাংশ) মতো বড় দেশও দারুণ লড়াই দিচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও জাপানের পরিসংখ্যানও ভালো। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় তাদের দেশে মৃত্যুহার যথাক্রমে .৩, .৩, .৩ এবং .৪। দক্ষিণ কোরিয়াও লড়াই চালাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ১৪৪-এ সীমাবদ্ধ রেখে। তথাকথিত গরিব এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় অনেক পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও আফ্রিকার বহু দেশ নোভেল করোনার গ্রাসে তেমনভাবে পড়েইনি।
এখন প্রশ্ন হল— বিশ্বে ব্যাপক শক্তি ও সমৃদ্ধির ভরকেন্দ্র বলে পরিচিত আমেরিকা যেখানে পারছে না, সেখানে কোন জাদুমন্ত্রে এখনও পর্যন্ত করোনার সঙ্গে যুদ্ধ জারি রেখে মৃত্যুহার যতটা সম্ভব ঠেকিয়ে রেখেছে এরা? ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর সর্বভারতীয় রিসোর্স পার্সন ডাঃ কে কে আগরওয়াল বলেন, আসল কারণ লকডাউন। তবে এখনও ভারতে করোনা পিক আসেনি। আরও দু’সপ্তাহ যেতে দিন। তখনও যদি মৃত্যুহার এর ধারেকাছে থাকে, তাহলে লেটার মার্কস দিতেই হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পশ্চিমবঙ্গের কো-অর্ডিনেটর ডাঃ প্রীতম রায় বলেন, যে যে ব্যবস্থা এখন বাকি দেশগুলি নেওয়ার কথা ভাবছে, যেমন লকডাউন, আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা, আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে রাখা, জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপকভাবে করোনা পরীক্ষা করা, মোবাইল অ্যাপস ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার— সবই করেছে হংকং, সিঙ্গাপুরের মতো ছোট দেশগুলি। এখনও পর্যন্ত ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত সদর্থক। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতেও সম্পূর্ণ লকডাউন করেনি আমেরিকার মতো বহু প্রথম বিশ্বের দেশ। যত্রতত্র মানুষ রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
বিশিষ্ট ফিজিশিয়ান ডাঃ অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এইসব দেশের আইনকানুন করোনা আক্রান্তকে বাইরে ঘুরে বেড়াতে দেয় না। হয় নিয়ম মানো, নয় জেলে যাও। মাঝামাঝি পথ নেই। প্রযুক্তি ও আগাম সিদ্ধান্ত গ্রহণ তো আছেই। অন্যদিকে, আমেকিায় এখনও পার্টি চলছে, মেলামেশা সবই চলছে। করোনা টাস্কফোর্সের সদস্য ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়াও দেখবেন করোনার প্রকোপে মাথা নত করেনি। ছোট দেশগুলিকে দেখে শেখার আছে প্রথম বিশ্বের দেশের।