বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ
প্রায় দু’দশক আগে ১৯৯২-৯৩ সালে সোনভদ্রে সোনার সন্ধানে কাজ শুরু করেছিল জিএসআই। সঙ্গী ভূতত্ত্ব ও খনি বিভাগ। অবশেষে শুক্রবার স্বর্ণভাণ্ডারের উপস্থিতির কথা জানাল তারা। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া সোনপাহাড়িতে সবথেকে বেশি সোনা থাকার প্রমাণ মিলেছে। সোনভদ্রের জেলা খনি আধিকারিক কে কে রাই বলেছেন, ‘সোনপাহাড়িতে প্রায় ২ হাজার ৯৪৩.২৬ টন সোনা মজুত রয়েছে। অন্যদিকে হারদিতে এই সোনার পরিমাণ ৬৪৬ কিলো ১৬ গ্রাম।’ সবমিলিয়ে এই সোনার বর্তমান মূল্য ১২ লক্ষ কোটি টাকা। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লুজিসি) তথ্য অনুযায়ী ভারতে ৬২৬ টন সোনা মজুত রয়েছে। অর্থাৎ, ভারতের মজুত ভাণ্ডারের পাঁচ গুণ সোনা রয়েছে সোনভদ্রে। তবে শুধু সোনা নয়, ইউরেনিয়াম সহ অন্যান্য খনিজেরও সন্ধান মিলেছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
দেশের সবথেকে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম সোনভদ্র। পাহাড়ি যে এলাকায় সোনার খোঁজ মিলেছে তা ১০৮ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত। এই জমির কতটা রাজস্ব বিভাগ এবং কতটাই বা বন দপ্তরের আওতাভুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাই। তাঁর কথায়, ‘বন ও খনি দপ্তর থেকে খননকাজ শুরু করার জন্য আবেদন জানানো হবে। খুব শীঘ্রই ই-টেন্ডারের মাধ্যমে নিলাম ডাকা হবে।’ নিলামের জন্য সাত সদস্যের একটি দল গড়েছে সরকার।
এদিকে, সোনা মজুত থাকার প্রমাণ মিলতেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় আকাশপথে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সে কাজে দু’টি কপ্টার নিযুক্ত করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা হল সোনভদ্র। প্রতিবেশী চার রাজ্যের সঙ্গে সীমানা ভাগ রয়েছে তার। ডব্লুজিসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী স্বর্ণভাণ্ডারের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। তারপর রয়েছে জার্মানি। দশম স্থানে ভারত। সোনভদ্রের হদিশ মেলা সোনার পরিমাণ যদি সঠিক হয়, তাহলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত। অন্যদিকে, সোনার খোঁজ পাওয়ার পর সোনভদ্রের কুদরি পার্বত্য অঞ্চলে ইউরেনিয়ামের সন্ধানে সমীক্ষা চালাতে শুরু করেছে জিএসআই। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, ব্রিটিশ আমলে সোনভদ্রে প্রথম সোনার সন্ধান মিলেছিল।