বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ
কংগ্রেসের ডাকা সাম্প্রতিক সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনপিআর এবং এনআরসি বিরোধী বৈঠকে প্রথম সারির সিংহভাগ আঞ্চলিক দল যোগ দেয়নি। বস্তুত সেটাই ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি. কড়া বার্তা। কংগ্রেসের অন্দরে এই প্রথম জোরালো একটি মনোভাব টের পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নেতানেত্রীর মন্তব্য ও বিবৃতিতে। সেটি হল গান্ধী পরিবারের বাইরে কোনও নেতাকেই সভাপতি করা হোক। শশী থারুর সেই কথাটিই বস্তুত পরোক্ষে বলেছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসের সাংগঠনিক কাঠামো নির্মাণ করা হোক। সোনিয়া গান্ধী সভাপতির পদ থেকে সরে গিয়ে রাহুল গান্ধীকে সেই পদে বসালেন জয়পুরে আয়োজিত এআইসিসি অধিবেশনে। রাহুল গান্ধী লাগাতার ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি ইস্তফা দিলেন এবং অনেক টানাপোড়েনের পর সোনিয়া গান্ধী বসলেন সেই পদে। শারীরিক কারণে সোনিয়া গান্ধীর পক্ষে ওই পদে সক্রিয়ভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই তিনি সরে যেতে চাইছেন। আগামী এপ্রিল মাসে আবার এআইসিসি অধিবেশন হবে এবং শোনা যাচ্ছে আবার রাহুল গান্ধীই সভাপতি। এই প্রবণতায় ক্ষুব্ধ দলের একাংশ। আর সবথেকে বড় যে সঙ্কট এসেছে সেটা হল এখন আর টিম রাহুল বলে কিছু নেই। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, শচীন পাইলট, মিলিন্দ দেওরা, নবীন জিন্দাল, গৌরব গগৈ, সুস্মিতা দেবদের নিয়ে যে যুব টিম ছিল সেটি এখন আর সক্রিয় নেই। এর মধ্যে মিলিন্দ দেওরা কিংবা সিন্ধিয়ারা রীতিমতো বিদ্রোহ করেছেন দলের বিরুদ্ধেই। এবং শচীন পাইলট যথেষ্ট ক্ষুব্ধ রাজস্থানে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হলেও বিশেষ প্রশাসনিক গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই যুব নেতাদের তুষ্ট করা কিংবা আলোচনার কোনও উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে না। যা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীদের ভাবনাচিন্তা নিয়ে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আপাতত হাইকমান্ডের প্রধান উদ্যোগই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ স্তরে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে আসা। সেটা রাজ্যসভায় হোক অথবা সংগঠনে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে।