দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য আগে ঘোষণা করেছিলেন, ব্যাঙ্কের মতোই এটিএম কার্ড দেওয়া হবে পিএফ গ্রাহকদের। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছুই হচ্ছে না বলে খবর। তার কারণ, ইপিএফও যেহেতু ব্যাঙ্ক নয়, তাই তাদের এটিএম কার্ড বিলির আইনি সুযোগ নেই। সেই কারণেই তৎক্ষণাৎ অনলাইন পেমেন্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কীভাবে গোটা বিষয় কার্যকর হবে, তা ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেটির মাথায় রয়েছেন শ্রমমন্ত্রকের যুগ্মসচিব। সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইপিএফও, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) এবং তথ্যপ্রযুক্তির মন্ত্রকের আওতায় থাকা সি-ড্যাকের কর্তারা। তাঁরা যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, সেখানে বলা হয়েছে, গ্রাহকদের ‘ভীম’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে মোবাইলে। সেটির সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক করাবেন গ্রাহক। নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ার পর, এই অ্যাপেই পিএফ থেকে টাকা তোলার একটি ‘অপশন’ আসবে। সেখানে গিয়ে গ্রাহক তাঁর ইউএএন এবং কত টাকা তুলতে চান, সেই তথ্য দেবেন। সেই তথ্য মিলিয়ে দেখে টাকা তোলার অনুমতি দেবে পিএফ দপ্তর। তখন ‘ভীম’ অ্যাপ জানতে চাইবে, কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে চান গ্রাহক? সেই মতো টাকা চলে যাবে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে। আদতে ভীম অ্যাপটি এনপিসিআইয়ের হাতে থাকায়, এই ইউপিআই ব্যবহার করতে চায় কেন্দ্র।
সর্বাধিক কত টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহক? কর্তারা বলছেন, জমানো টাকার পরিমাণ, অ্যাকাউন্টের মেয়াদ, আগে নেওয়া অগ্রিম, অবসরের সময় প্রভৃতি বিবেচনা করে এই সংক্রান্ত ফর্মুলা স্থির হবে। কিন্তু তা কখনই এক লক্ষ টাকার বেশি হবে না। যদি কোনও ব্যক্তির পিএফে সঞ্চয় দু’লক্ষ টাকা হয়, তবে তিনি চাইলেও এক লক্ষ টাকা তুলে নিতে পারবেন না। যেহেতু এটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, সেই কারণেই ইচ্ছেমতো টাকা তোলার সুযোগ থাকবে না। বাড়তি টাকা চাইলে, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এই সিদ্ধান্তে গ্রাহকদের কতটা সুবিধা হবে? এব্যাপারে ইপিএফও’র কেন্দ্রীয় অছি পরিষদে এরাজ্যের একমাত্র সদস্য তথা টিইউসিসি’র সাধারণ সম্পাদক শিওপ্রসাদ তেওয়ারি বলেন, ‘প্রয়োজনে থোক টাকা পেতে আগে ১০ দিন বা তারও বেশি অপেক্ষা করতে হতো কর্মীদের। এই প্রক্রিয়া শুরু হলে তাঁরা অনেকটাই উপকৃত হবেন।