দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনের জন্য এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে অল অসম কোচ-রাজবংশী স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আক্রাসু)। তারা রীতিমতো জঙ্গি আন্দোলনের পথেও হাঁটছে। পৃথক রাজ্য সহ আরও কয়েকটি দাবি আদায়ে গত জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখ অসম বন্ধ ডেকেছিল আক্রাসু। পরে হিমন্ত বিশ্বশর্মার অনুরোধে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি দিসপুরের বৈঠকে আক্রাসু নেতাদের আমন্ত্রণ জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গকে ভাগ করে পৃথক কামতাপুর রাজ্যের ‘দাবিদার’রা সানন্দে পৌঁছে যান সেখানে। বৈঠক শেষে আক্রাসু নেতৃত্ব জানিয়েছে, পৃথক রাজ্যের দাবির মুখ্যমন্ত্রী প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। বাংলা ভাগ হলে অসমের কোনও আপত্তি থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। নতুন রাজ্য গঠনের জন্য কেন্দ্রকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) পর্যন্ত প্রস্তুত অসম। এমনকী সেই সংক্রান্ত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও হিমন্তের সরকার অংশ নিতে রাজি। এব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
আক্রাসুর সঙ্গে বৈঠকের আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছিলেন বিশ্বশর্মা। সেখানেও কোচ-রাজবংশী জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আক্রাসু সভাপতি বলরাম বর্মন বলেছেন, ২৬’এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পৃথক রাজ্যের দাবি পূরণ না হলে, অসম ও উত্তরবঙ্গ মিলে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত হবে। অসম সরকার আমাদের পাশে থাকবে। দিসপুরের বৈঠকে হাজির ছিলেন কোচ-রাজবংশী জাতীয় পরিষদের সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। তাঁর কথায়, ‘অসম সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, কামতাপুর বা পৃথক রাজ্য গঠন হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই।’ এই পর্ব মেটার পরেই বিধানসভায় বাংলা ভাগের নতুন জিগির তুলেছেন পদ্মপার্টির বিধায়ক ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির শিখা চট্টোপাধ্যায়। গত বছর মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ একই জিগির তুলেছিলেন।
বাংলা ভাগে পদ্মপার্টির নয়া জিগির সামনে আসতেই অসম সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, ‘বিজেপি ভাবছে, ভোটের আগে এই সুড়সুড়ি দিয়ে মানুষের সমর্থন জোটাবে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ মানুষই পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করে না। তাই এখন উস্কানি আসছে অসম থেকে।’ উদয়নবাবুর কথায়, ফি বছর ভোটের আগে বঙ্গভঙ্গের জিগির আর উস্কানি দেওয়াটাই বিজেপির কাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা—তিনি বেঁচে থাকতে, বাংলা ভাগের চেষ্টা করে কেউ পার পাবে না।