দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
খুন ও দেহ লোপাটের চেষ্টার তদন্তে নেমে অফিসাররা জেনেছেন, ব্যাঙ্কে সুমিতাদেবীর চার লক্ষ টাকা রয়েছে। ওই টাকাই বেশ কিছদিন ধরে চাইছিল মা ও মেয়ে। তাতে রাজি হননি পিসিশাশুড়ি। তা নিয়েই মনোমালিন্য হয় দু’পক্ষের। পরে তা মিটেও যায়। তারপরই সুমিতাদেবী মধ্যমগ্রামে এসেছিলেন। তিনি সেখানে থাকাকালীন ফাল্গুনীর জন্মদিন আসে। সেই উপলক্ষ্যে তাকে পাঁচ হাজার টাকা উপহার দেন সুমিতাদেবী। ধুমধাম করেই জন্মদিন পালন হয়। এসবের মধ্যেই টাকাপয়সা নিয়ে আবারও মা-মেয়ের সঙ্গে ঝামেলা বাধে পিসিশাশুড়ির। রবিবার সকাল থেকে অশান্তি ব্যাপক আকার নেয়। সন্ধ্যায় ঝগড়ার মধ্যে সুমিতাদেবীর মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয় মা ও মেয়ে। এরপর মাথায় ও মুখে ইট দিয়ে মেরে খুন করে তারা। দেহ তাদের শোওয়ার ঘরে পড়েছিল। গন্ধ যাতে না ছড়ায়, তার জন্য পারফিউম স্প্রে করাও হয়েছিল ঘরে। পিসিশাশুড়ির কাছে থাকা এটিএম কার্ড হাতিয়ে রাতেই ফাল্গুনী স্থানীয় এটিএমে যায়। সেখানে গিয়ে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলে ওই কার্ডের। রাতভর দেহ বাড়িতেই পড়েছিল। ধৃত মা ও মেয়ে তদন্তকারীদের জানিয়েছে, দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে তারাই। ফাল্গুনীর দাদু সম্পর্কের একজন কুমোরটুলি এলাকায় থাকেন। তাঁর কাছে আসা-যাওয়ার সূত্রে ওই এলাকা দু’জনের কাছেই পরিচিত ছিল। তাই তারা ঠিক করে, সেখানে গিয়ে গঙ্গায় দেহ ভাসিয়ে দেবে। টাকা তুলে সঙ্গে রাখলে ধরা পড়ে যেতে পারে ভেবে তারা গয়না কিনে বাড়িতে রাখার পরিকল্পনা করে। সেইমতো দেহ বাড়িতে তালাবন্ধ রেখে তারা বড়বাজারে গিয়ে ৫০ হাজার টাকার গয়না কেনে। তার রসিদও তদন্তকারীরা পেয়েছেন। কুমোরটুলি এলাকা ‘রেকি’ করে তারা ফিরে যায় মধ্যমগ্রাম। ফাল্গুনী তদন্তকারীদের জানিয়েছে, শশুরবাড়ি থেকে সে একটা ট্রলি ব্যাগ নিয়ে এসেছিল। সোমবার রাতে সেটির মধ্যে দেহ প্যাকিং করে গঙ্গায় ফেলে দিতে ভোররাতে তারা বেরিয়ে পড়ে মধ্যমগ্রামের বাড়ি থেকে।