দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
এদিন বালির কল্যাণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়েছেন বেলুড় মঠের সন্ন্যাসী মহারাজরা। প্রায় ৪০০ বছরেরও পুরনো এই মন্দিরে পুজোয় শামিল হন বেলুড় মঠের অধ্যক্ষ মহারাজ স্বামী গৌতমানন্দজি সহ অন্যান্যরা। জনশ্রুতি রয়েছে, শিবরাত্রিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব দক্ষিণেশ্বর থেকে নৌকা নিয়ে গঙ্গা পেরিয়ে এই মন্দিরে এসে পুজো করতেন। সেই রীতি মেনেই বেলুড় মঠের মহারাজরা পুজো করে আসছেন।
সকাল থেকেই পুণ্যস্নানের ঢল নেমেছিল বাঁশবেড়িয়ার ত্রিবেণীর গঙ্গায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত গঙ্গার ঘাটে ছিল তীব্র ভিড়। বৈদ্যবাটি সহ একাধিক গঙ্গার ঘাটেও ভিড় দেখা গিয়েছে। তবে ভিড়ের নিরিখে ত্রিবেণী ছিল অনেকটাই এগিয়ে। জেলার সর্বত্র এদিন শিবমন্দিরগুলিতে পুণ্যার্থীদের ব্যাপক ঢল দেখা গিয়েছে। কোন্নগর থেকে চুঁচুড়া, সর্বত্র ছিল উৎসবের আবহ।
শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে চাকদহের সুখসাগরে রোডে গঙ্গার পাড়ে গঙ্গা মাতার মন্দিরে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। প্রায় ১২৬ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে গঙ্গা, দুর্গাদেবীর মূর্তি ছাড়াও ১২টি শিবলিঙ্গ রয়েছে। গুরু মহারাজ মন্দির থেকে গঙ্গায় স্নান করতে যেতেন সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে। যার নিদর্শন এখনও রয়ে গিয়েছে।
বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার শম্ভুনাথ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। মন্দির কমিটির সভাপতি বিবেক সিং জানান, প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে মানুষের ভিড় হয়েছে। ভোর থেকে মানুষ লাইন দিয়ে মন্দিরে জল ঢেলেছেন, পুজো দিয়েছেন। এছাড়া বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি গঙ্গার ঘাটে ডুব দেন হাজার হাজার মানুষ। বারাকপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ বারিক জানিয়েছেন, এদিন বহু মানুষ গঙ্গাস্নান করেছেন। সব কিছুই হয়েছে নির্বিঘ্নে। সর্বত্রই বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।