আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি অথবর্ষ অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বাংলা থেকে ইলিশ রপ্তানির পরিমাণ ০.২৯ টন। রপ্তানির অঙ্ক ৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। এই পরিমাণ ইলিশ সবটাই রপ্তানি হয়েছে ইউনাইটেড কিংডমে। গত অর্থবর্ষে সে দেশে বাংলা থেকে ১.৪৫ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল। দাম ছিল ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইলিশ রপ্তানির পরিমাণ ছিল কিছুটা কম, ০.২৮ টন। দাম ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। তার আগের বছর ১৯.৮ টন ইলিশ বাংলাদেশে রপ্তানি হয়েছিল। ভারতীয়
মুদ্রায় যার দাম ছিল ১৭ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমাণ ও টাকার নিরিখে ইলিশ রপ্তানি সামান্যই। বাঙালির পছন্দের এই মাছটির উৎপাদন পশ্চিমবঙ্গে এতটাই কম যে রপ্তানি নিয়ে চিন্তাভাবনার অবকাশই ছিল না। গত কয়েক বছরে দু’-একটি সংস্থা এই ব্যাপারে উৎসাহ দেখানোয় রপ্তানি শুরু হয়েছে।
তথ্য বলছে, বিশ্বে যতটা ইলিশ উৎপাদন হয়, তার সিংহভাগই বাংলাদেশ থেকে। একটা সময় ছিল, যখন মোট উৎপাদনের ৭৫ থেকে ৭৬ শতাংশ দখলে রাখত তারা। ভারতের ভাগে থাকত ৫ থেকে ৬ শতাংশ। বাকিটা পেত মায়ানমার, পাকিস্তান, ইরাক, ইরান ও কুয়েত। এখন বাংলাদেশ মোট উৎপাদনের ৯৭.০১ শতাংশ দখল করে নিয়েছে। ২০২১ সালের তথ্য থেকে এমনটাই জানাচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন বা এফএও। তারা জানাচ্ছে, ইলিশের মোট উৎপাদনে ভারতের অংশ মাত্র ২.৪১ শতাংশ। বাকিটা অন্য দেশের। বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনের পরিমাণ ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার টন, বলছে তারা। গোটা ভারতেই যেখানে উৎপাদন এত কম, সেখানে বাংলা থেকে ইলিশ রপ্তানি যে সম্ভব হচ্ছে, সেটাই বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।