আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
চলতি সপ্তাহেই দিল্লিতে হয় জেলা স্তরের বিচার ব্যবস্থা সংক্রান্ত জাতীয় সম্মেলন। সেখানে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আদালতগুলিতে ‘মামলা মুলতুবির সংস্কৃতি’তে বদলের দাবি জানান। তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে নিষ্পত্তি না হয়ে মামলা ঝুলে থাকাটা বিচার বিভাগের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সব পক্ষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য যে নিছক কাকতালীয় নয়, তার প্রমাণ মিলছে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড (এনজেডিসি)-এর পরিসংখ্যান থেকে। দেখা যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবে দেশের সব হাইকোর্ট মিলিয়ে ঝুলে থাকা মামলার মোট সংখ্যা ৫৮ লক্ষ ৫৯ হাজার। এর মধ্যে ৪২ লক্ষ ৬৪ হাজার দেওয়ানি মামলা। আর ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৯৪ হাজার। এর মধ্যে হাইকোর্টগুলি ২০ থেকে ৩০ বছরের পুরনো মামলার সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৪৫ হাজার।
চলতি সপ্তাহে দিল্লির ওই সম্মেলন থেকেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল দেশের আদালতগুলি থেকে ‘তারিখ পে তারিখ’ সংস্কৃতি দূর করার ডাক দেন। তিনি বলেন, ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ৩০ বছর ধরে জমে থাকা মামলাগুলি নিয়ে পৃথকভাবে বিশ্লেষণ করেছে আইন মন্ত্রক। এনজেডিসি-র পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বহু মামলার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মামলাকারীরা অনুপস্থিত। অনেক ক্ষেত্রে মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় আগ্রহও নেই। এরকম মামলা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এগুলি এক ধাক্কায় বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব। এরকম ক্ষেত্রে কয়েকটি হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই সদর্থক পদক্ষেপ করেছে। এ তো গেল শুধু হাইকোর্টগুলির অবস্থা। আইনমন্ত্রীর আশাব্যঞ্জক মন্তব্যের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট ও জেলা আদালত সহ সব মিলিয়ে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা পাঁচ কোটিরও বেশি! নিষ্পত্তি কতদিনে? জবাব অজানা।