আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
এক্সপার্ট কমিটির চেয়ারম্যান উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোটা প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে বাংলা এবং ইংরেজির বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশ জমা না পড়ায়। ইতিমধ্যে গণিত এবং বিজ্ঞানের সুপারিশ এক্সপার্ট কমিটির কাছ থেকে বিকাশ ভবন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে গিয়েছে। গণিতের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ভুল সংশোধন করা হয়েছে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কিছু ভাষা এবং ব্যাখ্যাগত পরিবর্তন হয়েছে। গত মাসের শেষের দিকে জমা পড়েছে ইতিহাস এবং ভূগোলের সংশোধনী সংক্রান্ত সুপারিশ। তাতেও বেশ কিছু পরিবর্তন রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে না চাইলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন বলেন, ‘তেমন বড়সড় সংশোধনী বইগুলিতে নেই। তবে ইতিহাস এবং ভূগোলের রিপোর্ট বিকাশ ভবনে দেওয়া যাচ্ছে না বাংলা এবং ইংরেজির সুপারিশ জমা না পড়ায়।’
সূত্রের খবর, বাংলার ক্ষেত্রে সিলেবাসের আমূল সংস্কার প্রয়োজন বলেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। তা নিয়েই কি জটিলতা রয়েছে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্যের দাবি, যা যা পরিবর্তন প্রয়োজন, তা চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এবার তিনি যা নির্দেশ দেবেন, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। সুপারিশ করা হয়নি, এই দাবি ভুল। ইংরেজির ক্ষেত্রেও অবশ্য একই দাবি করা হচ্ছে। এখানে একটি রাজনৈতিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। চেয়ারম্যান বেশ কিছুদিন আগে এক্সপার্ট এবং সদস্যদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার ব্যাখ্যা দিয়ে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তবে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নিরস্ত হন তিনি। তারপর কাজে কিছুটা গতি বাড়ে। শেষ মুহূর্তে এসে সেই বিতর্কই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয়ের সুপারিশ এখনও জমা পড়েনি। তবে, সেগুলি কী কী, তা নিয়ে মন্তব্য করব না।’