কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
কলেজে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৮ জুলাই প্রথম ধাপের আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে। পর্ষদের আশা, ততদিনে ছাত্রছাত্রীরা জেনে যাবেন, পছন্দের কলেজে পছন্দের বিষয় তাঁরা পাচ্ছেন কি না। অন্তত প্রাথমিক ধারণা তৈরি হয়ে যাবে। এমন ছাত্রছাত্রীদের প্রধান টার্গেট করেই সময়সীমা বাড়াচ্ছে পর্ষদ। কেন এই অনীহা প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরির জন্য আবশ্যিক ডিএলএড কোর্স নিয়ে?
একটি পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে অন্তত ৪০ হাজার ছাত্রছাত্রী টেট উত্তীর্ণ হয়ে বসে রয়েছেন। আর ডিএলএড উত্তীর্ণ হয়ে রয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী। নতুন করে ডিএলএড উত্তীর্ণদের এই লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে চাকরি পাওয়ার জন্য। সেটা অনীহার একটি কারণ। আবার বেসরকারি ডিএলএড কলেজে কোর্স ফি ৯৬ হাজার টাকা। এত ফি দিয়ে ডিএলএড কোর্স করার চেয়ে অনেকে সাধারণ ডিগ্রি বা কোনও কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্স করার দিকেই বেশি ঝোঁকেন।
রাজ্যে সব মিলিয়ে ডিএলএড আসন প্রায় ৪৪ হাজার। প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬৫৭টি। এর মধ্যে সরকারি ডায়েট এবং পিটিটিআই রয়েছে ৬০টি। বাকিগুলি বেসরকারি ডিএলএড কলেজ। ফলে, বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই সেগুলিতে ভর্তি হন। পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, কোর্স ফি কম হওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির চাহিদা কমেনি। ৫০টি আসনের জন্য হয়তো পাঁচ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এখানে যাঁরা সুযোগ পাবেন না, তাঁরা কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি হবেন। ফলে, সমস্যার সমাধানও রয়েছে। তাছাড়া, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে পাঁচটি করে আসন বরাদ্দ থাকে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য। আদালতের নির্দেশে শিক্ষকরা যাতে আবেদন করতে পারেন, তার জন্যও সময়সীমা বাড়াতে হচ্ছে। বেসরকারি কলেজগুলি অবশ্য বলছে, মাথাপিছু ফি সর্বোচ্চ ৯৬ হাজার টাকা হলেও বহু ক্ষেত্রেই তা অনেক কমানো হয়, তাতে ৫০ হাজার টাকাও আয় হয় না কলেজের। এবছর সেটা আরও কমাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি, ওবিসি সংরক্ষণের মামলায় কী রায় হয়, সেদিকেও নজর রয়েছে। কারণ, তাতে প্রভাবিত হবে ভর্তি প্রক্রিয়া।