সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
আবহাওয়া দপ্তরের এই সর্তকবার্তা পেয়েই তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। পরিস্থিতি মোকাবিলার আগাম ব্যবস্থা নিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতার আজ, বুধবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিব ছাড়াও সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সঙ্গে তিনি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। ঝড়-বৃষ্টি হলেও যাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কোনও ক্ষতি না হয় ও ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থাপনা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। সোমবার পঞ্চম দফার ভোটের দিন জোরালো ঝড়-বৃষ্টির জন্য হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। যদিও ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়নি।
সোমবার থেকে রাজ্যের সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টির মাত্রা বেড়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাব তো ছিলই, সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প ঢোকার জন্য এখন বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আজ, বুধবার একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। এটি শক্তি বাড়িয়ে আপাতত উত্তর-পূর্ব অভিমুখে অগ্রসর হবে বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, বা হলেও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে আসবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে না এলেও বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময় সিস্টেমটির প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে, বিশেষ করে উপকূল এলাকায় পড়তে পারে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা থাকায় রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীদের শুক্রবার থেকে আপাতত সমুদ্রে না থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে আপাতত আগামী সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।