উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড নিয়ে কী করতে চলেছে মোদি সরকার? হাতে আসা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নথি বলছে, বিভিন্ন সরঞ্জাম উৎপাদনের ভিত্তিতে ঠিক করা হয়েছে তাদের সদর দপ্তর। এর মধ্যে উইপেন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট, ট্রুপ কমফোর্ট আইটেম এবং প্যারাস্যুট তৈরি দেখভালের দায়িত্বে থাকা তিনটি কর্পোরেট সংস্থার সদর দপ্তর একাই পাচ্ছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশের কানপুর। গোলা-গুলি-বিস্ফোরক তৈরির বিভাগটি পরিচালিত হবে মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে। মহারাষ্ট্রেরই নাগপুরে গড়ে উঠবে বিবিধ সামগ্রী তথা অ্যানসিলিয়ারি বিভাগের সদর দপ্তর। সেনা যানবাহন নির্মাণের বিষয়টি দেখভালের জন্য নির্দিষ্ট নিগমের বড় কর্তাদের দপ্তর হচ্ছে চেন্নাইয়ের আভারিতে। সপ্তম তথা অপ্টো-ইলেকট্রনিকস বিভাগের সদর দপ্তর হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে। এই সাতটি সদর দপ্তরের অধীনেই চলে যাবে বর্তমানে চালু ৪১টি কারখানাই। গত আর্থিক বছরের হিসেবে অনুযায়ী প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব এসেছে সরকারের কোষাগারে এগুলির মাধ্যমেই।
দপ্তরের অফিসার-কর্মীরা বলছেন, দিল্লির কর্তাদের এই পরিকল্পনার পিছনে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে অত্যন্ত সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা শিল্পকে বেসরকারিকরণের পথে ঠেলে দেওয়ার প্রয়াস রয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে বাংলার ইতিহাসের গরিমাকেও মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ৪২ বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই বোর্ড। ব্রিটিশ জমানার ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবেই ১৯৭৯ সালে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন সরকার। তবে ইংরেজরা ভারতে আসার পর রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক কারণে ১৭৭৫ সালে ফোর্ট উইলিয়ামে প্রতিষ্ঠা করেছিল বোর্ড অফ অর্ডন্যান্স। তার পরিচালন-কর্তাদের হাত ধরে পরবর্তীকালে উত্তর শহরতলির ইছাপুরে গান পাউডার ফ্যাক্টরির পত্তন হয়। ধীরে ধীরে তৈরি হয় উত্তর কলকাতার কাশীপুরে গান ক্যারেজ এজেন্সি। এভাবেই ইছাপুর ও কাশীপুরের নাম জড়িয়ে যায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম শিল্পের সঙ্গে। পরে এই দুই প্রতিষ্ঠানেই আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তথা রাইফেল তৈরি হতে শুরু করে সেনা বাহিনীর জন্য।
এই দুই কারখানার ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই স্ট্র্যান্ড রোডের ধারে তৈরি হয় অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের সদর দপ্তরের নতুন অফিস তথা আয়ুধ ভবন। কাশীপুর কারখানায় সমরাস্ত্র তৈরির ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ফি বছর ১৮ মার্চ এখানে ঘটা করে পালন করা হয় অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি ডে। মোদি সরকারের বদান্যতায় সেই আয়ুধ ভবনের ঐতিহ্য ও গুরুত্ব আগামী দিনে তলানিতে চলে যেতে বসেছে।