পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে গোবিন্দ আগরওয়ালের ম্যাঙ্গো লেনের সিএ ফার্মে তল্লাশি অভিযান চালান কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা। ১ কোটির কিছু বেশি নগদ উদ্ধারের পাশাপাশি বেশকিছু কম্পিউটার ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। সেই হার্ডডিস্ক হাতড়ে ‘ম্যাডাম রোজভ্যালি’ নামে একটি ফোল্ডার খুঁজে পায় পুলিস। ফোল্ডার খুলতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বেড়াল। দেখা যায়, গৌতম কুণ্ডুর চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালি গোষ্ঠীর টাকা এই গোবিন্দ আগরওয়ালের ফার্মের মাধ্যমেই বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানিতে ঘুরিয়ে সাদা করা হয়েছে। যেহেতু, চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলাগুলির তদন্তভার ছিল সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে, তাই কলকাতা পুলিসের তরফে বিষয়টি ওই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর তদন্ত চালাতে গিয়ে ইডি’র আধিকারিকরা জানতে পারেন, গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর সঙ্গে বেশ ভালোরকম যোগাযোগ ছিল গোবিন্দ আগরওয়ালের। রোজভ্যালির বিভিন্ন সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা গোবিন্দর সংস্থায় এসেছিল। এছাড়া রোজভ্যালির গয়না বিপণী থেকে আসা বিপুল পরিমাণ কাঁচা টাকাও গোবিন্দর সংস্থায় খাটত। ইডি’র দাবি, একাধিক কাগুজে সংস্থা খুলে এই সমস্ত কালো টাকা সাদা করার কাজ করতেন গোবিন্দ। উত্তর ভারতের বিভিন্ন ঠিকানায় ওই সমস্ত সংস্থা খোলা হয়েছিল। একটি সংস্থা থেকে অন্যটিতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পাঠানো হতো টাকা। যদিও, শেষমেষ সমস্তটাই সাদা হয়ে এসে ঢুকত গৌতম কুণ্ডুর পকেটে।
ইডি সূত্রে খবর, শুধু রোজভ্যালি নয়, আরও বেশ কয়েকটি চিটফান্ড সংস্থার টাকা এভাবেই গোবিন্দর ‘বদান্যতায়’ সাদা হয়েছিল। এছাড়া কয়লাকাণ্ডে অভিযুক্ত লালাকে ভুয়ো কোম্পানি খুলতেও সাহায্য করেছিল গোবিন্দ আগরওয়ালের ফার্ম। আবার গোরু পাচারে অভিযুক্ত বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার ও তাঁর আত্মীয়দের কালো টাকা ভুয়ো সংস্থায় খাটিয়ে সাদা করার কাজেও হাত রয়েঠে গোবিন্দর।