নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শনিবার মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাইরে না বেরলেও পরীক্ষাকেন্দ্রে ফোন সহ ধরা পড়লেন এক পার্শ্বশিক্ষক। দার্জিলিংয়ের নন্দপ্রসাদ হাইস্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দরবার করে এবারই প্রথম পার্শ্বশিক্ষকদের মাধ্যমিকে পরিদর্শক করার ছাড়পত্র আদায় করেছিলেন নেতারা। শিক্ষা দপ্তরের সবুজ সংকেত পেয়ে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব দিতে নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাই এই ঘটনায় পার্শ্বশিক্ষক নেতাদেরও মুখ পুড়েছে। শনিবার পর্ষদ জানিয়েছে, ওই পার্শ্বশিক্ষক নির্ধারিত পরীক্ষাবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এমনকী, পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারও করেছেন। ধরা পড়ার পর অভব্য আচরণ করেছেন। তাঁকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল পার্শ্বশিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি রমিউল ইসলাম শেখ বলেন, একজনের জন্য সব প্যারাটিচারকে যেন দায়ী না করা হয়। আর আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, অভিযুক্ত পার্শ্বশিক্ষকের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের ঝামেলা ছিল। তার জেরে ওই পার্শ্বশিক্ষক আগেরদিন পরীক্ষার ডিউটি করতে আসেননি। এদিন তিনি এলে বচসা হয়। সেই সময় তাঁর পকেটে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। ফোন বের করুন বা না করুন, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে তাঁর ঢোকা উচিত হয়নি। সরশুনার শিবরামপুর ননীলাল বিদ্যাপীঠের এক শিক্ষিকা এবং দুই শিক্ষকের দিকে পরীক্ষা চলাকালীন নিয়মবিধি লঙ্ঘন, কর্তব্যে গাফিলতি এবং অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদেরও কেন্দ্রে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই শিক্ষকদের ঝামেলা বহুদিন ধরেই। অভিযুক্ত এক শিক্ষক বলেন, আমার তরফে কোনও গাফিলতি ছিল না। যে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক তাঁদের ধরেছেন, তিনিও এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে চাননি। তাই অভিযোগের সত্যাসত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আসানসোল শিশুভারতী বিদ্যামন্দিরের কেন্দ্রে এক ছাত্রী, ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি হাইস্কুল, কোচবিহারের শিকারপুর হাইস্কুল এবং মালদহের কুষ্টিয়া হাইস্কুলের তিন ছাত্র পরীক্ষার হলে মোবাইল সহ ধরা পড়েছে। তাদের উত্তরপত্র এবং মোবাইল সিল করে পর্ষদের অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে শিক্ষক এবং পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল এনেই চলেছেন।