বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
অন্যদিকে, দলের লোকসভার এমপি মহুয়া মৈত্র সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন। একই দাবিতে পৃথকভাবে মামলা দায়ের করেছেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশও। আজই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করেছিলেন মহুয়া মৈত্রর আইনজীবী। তবে দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে গিয়ে আগে আবেদন করুন। তারপর শুনানি।
সোমবার লোকসভা, বুধবার রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর গতকাল রাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর ওই সম্মতিসূচক স্বাক্ষরের পর সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল এখন আইন। কিন্তু এই আইন তারা মানবে না, রাজ্যে কার্যকর করতে দেবে না বলেই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে তৃণমূল। সংসদীয় দলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে অশান্ত উত্তর-পূর্বের খবর সম্প্রচার আটকাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে যেভাবে অ্যাডভাইসারি পাঠানো হয়েছে, তা সুপার ইমারজেন্সি। এভাবে সংবাদ পরিবেশনের উপর সতর্কবার্তা মোটেই কাম্য নয়। ডেরেক এদিন আরও বলেন, বিল এনে দেশকে অশান্ত করলেন আর নিজেই ভোটভুটিতে অংশ নিলেন না নরেন্দ্র মোদি। সরকার যে কতটা উদ্ধত, অহঙ্কারী, কারও কথা শুনতে চাই না এতেই তা প্রমাণ হয় বলেও দাবি করেন ডেরেক। বলেন, সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে সংসদকে অপমান করতে পারে না। তাই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন আজ শেষ হলেও উল্লেখিত বিষয়গুলি নিয়ে তৃণমূল রাস্তায় নামবে বলেই ঠিক করেছে।
অন্যদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যেমন টিএমসি আন্দোলন তীব্র করছে, একইসঙ্গে রাজ্যসভায় তৃণমূলের পক্ষে ‘হুইপ’ থাকা সত্ত্বেও কেন দলেরই একজন ব্যবসায়ী এমপি সভায় এলেন না, সরকার বিরোধী ভোট দিলেন না তা জানতে চেয়ে তাঁকে শোকজ নোটিস দেওয়া হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে জবাব দিতে হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০২০ সালের ২ এপ্রিল ওই এমপির রাজ্যসভার সদস্য থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।