বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানোর আবেদন করেছেন। রেল ও পথ অবরোধ না করার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন তিনি। দীঘা থেকে ফিরেই নবান্নে পুলিসকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন তিনি। এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং বলেন, দু’টি ঘটনা ঘটেছে। একটি উলুবেড়িয়া এবং অপরটি বেলডাঙায়। উলুবেড়িয়ার ঘটনায় রেল ফোন করেছিল, সহযোগিতা চেয়েছিল। আমরা পুলিস পাঠিয়েছি। আরপিএফ ছিল না। বেলডাঙা থানায় একটু পাথর ছুঁড়েছিল। অন্যদিকে, রাজ্যবাসীকে শান্ত হতে অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় অবরোধে শামিল হয় বিভিন্ন সংগঠনের মানুষ। তার জেরে এদিন দুপুর থেকে বিভিন্ন জায়গার মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এদিন দুপুর দেড়টা থেকে উলুবেড়িয়ার নিমদিঘিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু হয়। তার জেরে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় শ’য়ে শ’য়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের রুইয়াতেও অবরোধ করেন এলাকার লোকজন। প্রায় আধঘণ্টা পর পুলিস গিয়ে অবরোধ তোলে। এর জেরে এখানেও যানজট হয়। এদিন বারাসতের কাজিপাড়ায় রেলগেটের কাছে একটি ধর্মীয় সংগঠন এই বিলের প্রতিবাদে মিছিল করছিল। তখন ট্রেনের সময় হয়ে যাওয়ায় গেটম্যান গেট বন্ধ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, মিছিলকারীরা বাধা দেন। ফলে গেটম্যান গেট বন্ধ করতে পারেননি। ট্রেনটি সেখানেই দাঁড়িয়ে যায়। তখন মিছিল থেকে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযাগ। যদিও তাতে কেউ হতাহত হননি বলেই রেল কর্তৃপক্ষের দাবি। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কামারহাটিতে বি টি রোডেও অবরোধ হয়। এদিন ডায়মন্ডহারবার শাখার রাসুলডাঙায় ট্রেন অবরোধ করা হয়। ঘণ্টাখানেক আপ ও ডাউন শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। রাজারহাটে চৌরাস্তাতেও অবরোধ হয়। নারকেলবাগান মোড়ে জমায়েত করে প্রতিবাদ জানানো হয়।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা। রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়। বহরমপুরের ভাকুড়িতে, রঘুনাথগঞ্জে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভ চলে ডোমকল ও নওদাতে। এই আইনের প্রতিবাদে বীরভূমের ইলামবাজার, পাড়ুই, বাসাপাড়া, মহম্মদবাজারে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই জেলার নলহাটি, ময়ূরেশ্বরে জাতীয় সড়কেও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
হুগলি জেলার আরামবাগের হরিণখোলায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের সময় পুলিস আচমকা লাঠিচার্জ করলে বিক্ষোভকারীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। যদিও পুলিস লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছে। আসানসোলের বিএনআর মোড়ে বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। বর্ধমানের সেহারাবাজারে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ তমলুক শহর ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মেদিনীপুরের এলাহিগঞ্জে প্রায় দু’ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ হয়। প্রতিবাদ মিছিল বেরয় পুরুলিয়া শহরেও। তারই মধ্যে নদীয়ার হাঁসখালির বগুলাতে এই আইনের সমর্থনে বিজেপি উল্লাস মিছিল বের করে।