বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
নবান্ন তথা রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে রাজ্যপাল ধনকারের বিরোধ এখন প্রকাশ্যে। সম্প্রতি, সেই বিরোধে নতুন মাত্রা জুড়েছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। অধিবেশন চালাতে গিয়ে রাজভবনের অসহযোগিতাকে অস্ত্র করেছে সরকারপক্ষ। ফলে ধনকারের সঙ্গে সংঘাতের মাত্রা আরও চড়ছে। বিধানসভায় আলোচনার জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন না মেলায় একাধিক বিল পেস করতে পারেনি সরকার। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তফসিলি জাতি-উপজাতি কমিশন গঠনে বিল আনতে চেয়েছিল বিধানসভা। সেই খসড়া আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল ধনকার। শাসকের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁর সঙ্গে নবান্নের এই বিষয়ে যে চিঠি চালাচালি হয়েছিল, তার প্রতিলিপি পাঠিয়ে বিল বিতর্কে সরকারকেই বিঁধেছিলেন রাজ্যপাল। অধ্যক্ষ বিমানবাবুও তাঁর জবাব দিয়েছেন রাজ্যপালকে। ঘটনাচক্রে রাজভবন ও বিধানসভা ভবনের এই উত্তপ্ত পত্রযুদ্ধের আবহে প্রতি বছরের মতো এবারেও বিধানসভা চত্বরে আগামী ২৩ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে বাৎসরিক পুষ্প প্রদর্শনী। সেই প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন খোদ অধ্যক্ষ। অন্যান্য বছরের মতো এবারেও বিরোধী দলেনেতা ও পরিষদীয় দলের নেতৃত্বকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন ও সমাপ্তিতে আমন্ত্রণ জানায় আয়োজকরা। এবারে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রাজ্যপালের নাম নেই। কেননা অনুষ্ঠানে গত বছর ফুলের প্রদর্শনীতে এসেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। বাম আমল থেকেই এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন কিংবা সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের ডাক পড়ত। এবারের এই ব্যতিক্রম কি চলতি সংঘাতেরই ফল? এই নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের চর্চা শুরু হয়েছে। অধ্যক্ষ বিমানবাবু অবশ্য এই বিতর্ককে গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, কীভাবে রাজ্যপালকে সম্মান বা মর্যাদা দিতে হয়, তা আমরা জানি। তাঁর দাবি, রাজভবনের সঙ্গে তাঁদের কোনও সংঘাত নেই। তবে, বর্তমানে রাজভবনের ভূমিকা নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভগ্যজনক বলেই মনে করেন তিনি। সংঘাতের কথা অস্বীকার করলেও এবারের পুষ্প প্রদর্শনী রাজনৈতিক বিতর্কের ইন্ধন জোগাতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।