মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
পঞ্চায়েত দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে সোমবার বিধানসভায় আলোচনা শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনে আলোচনায় বিরোধী বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন না। বিজেপি বিধায়করা অবশ্য ছিলেন। বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা পঞ্চায়েতের কাজকর্মের সমালোচনা করেন।
তৃণমূল বিধায়করা পঞ্চায়েতের কাজের প্রশংসা করার পাশাপাশি কিছু প্রশ্নও তুলেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলেন, গ্রামে অনেক পরিবারের এখনও শৌচাগার হয়নি। কিন্তু জেলা প্রশাসন উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত জেলা বলে ঘোষণা করে দিচ্ছে। ওই জেলারই বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল পঞ্চায়েতের কাজে আরও নজরদারি করার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, কাজ হচ্ছে। কিন্তু তার উপর নজরদারি প্রয়োজন। গ্রামে এখনও অনেকের পাকা ছাদের ঘর হয়নি। বাংলা আবাস যোজনায় গরিব মানুষের পাকা ছাদ করতে হবে। এমএসকে এবং এসএসকেগুলিতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের কথাও তিনি তোলেন। যোগরঞ্জনবাবু একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দুশো দিন কাজ দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার প্রস্তাব রাখেন। পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়ক সমরেশ দাস গ্রামে আরও মোরাম রাস্তা তৈরির প্রসঙ্গ তোলেন।
তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল পঞ্চায়েতের কাজে আরও নজরদারি কথা বলার প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা মনোজবাবু বলেন, পঞ্চায়েতের কাজে দুর্নীতি হচ্ছে, এটা উনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। সরাসরি দুর্নীতির কথা বলতে না পেরে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছেন। বিরোধীদের এলাকায় একশো দিনের প্রকল্পে কাজ না দেওয়ার জন্য এক জেলাশাসকের তরফে বিডিওদের মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। চা বাগান বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও একশো দিনের প্রকল্পে কাজ না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।
পঞ্চায়েতে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তোলায় বিজেপি বিধায়ককে পাল্টা কটাক্ষ করেন সুব্রতবাবু। মনোজ টিগ্গা কেন তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে কোনও কথা না বলে মহাত্মা গান্ধীর প্রশংসা করলেন, সেই নিয়ে কটাক্ষ করেন। বিরোধী এলাকায় একশো দিনের কাজ না দেওয়ার নির্দেশের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সুব্রতবাবু বলেন, কোনও নথি ছাড়া এভাবে বিধানসভায় অভিযোগ করা যায় না। মনোজবাবু নতুন বিধায়ক। তাই হয়তো এসব জানেন না।