নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘা: জিএসটি বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য ২২০০ কোটি টাকা গত তিনমাস ধরে মেটায়নি কেন্দ্র সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউ দীঘার কনভেনশন সেন্টারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করলেন রাজ্যের শিল্প-অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র। তিনি বলেন, আয়কর এবং জিএসটি বাবদ যে অর্থ রাজ্য থেকে কেন্দ্র নিয়ে যায়, রাজ্যের ঘাটতি হলে তা পূরণ করার বিষয়টি সংবিধান স্বীকৃত। সংবিধান স্বীকৃত সেই বিষয়টি কেন কেন্দ্র মানছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী। বিজেপির নাম না করে অমিতবাবু বলেন, এমনকী কেন্দ্র সরকার যে দল পরিচালনা করছে, তাদের শাসিত রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীরাও যোগাযোগ করে বলছেন, তাঁরাও বঞ্চিত সংবিধান স্বীকৃত অর্থ প্রাপ্তি থেকে। তাঁর কথায়, যদি চলতি ডিসেম্বর মাসেও প্রাপ্য টাকা না মেলে, তবে বকেয়ার পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা হবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর দিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকে বাংলার এই ন্যায্য দাবি নিয়ে তিনি সরব হবেন বলে অমিতবাবু জানিয়েছেন।
কয়েকদিন আগে কলকাতায় বণিকসভার এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার দাবি করেছিলেন, জিএসটি’র প্রাপ্য পেতে রাজ্যের পক্ষে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। সাহায্য করেছিলেন অমিত মিত্রকে। এদিন সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি জেনে দুঃখ পেয়েছি। জিএসটি’র প্রাপ্য মেলা না মেলাটা জিএসটি কাউন্সিলের এক্তিয়ারে পড়ে। তাঁর (রাজ্যপাল) কাছ থেকে সাহায্য নেব কেন, যাঁর এই বিষয়ে কোনও এক্তিয়ারই নেই। তিন মাস আগে একবার রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেখানেও জিএসটি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। তাসত্ত্বেও উনি (জগদীপ ধনকার) কেন এহেন দাবি করলেন, বোধগম্য নয়।