কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তৈরি করা এই কিটের ওজন আড়াই মন। চারজনের একটি সংসার চালাতে প্রাথমিকভাবে যা দরকার, সবই থাকছে ওই কিটে। ত্রাণের এই ব্যবস্থা পুরোটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। প্রথমে এর নাম দেওয়া হয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কিট (ডিএম কিট)। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নাম বদলে করে দেন, ডিগনিটি কিট অর্থাৎ সাম্মানিক কিট। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আসার আগে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের হাতে ছিল এই ধরনের ২৫ হাজার কিট। যা ইতিমধ্যেই বিলি হয়ে গিয়েছে। যাতে আরও এমন কিট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য ছ’লক্ষ কিট তৈরির অর্ডার দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেই কিট দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
এছাড়াও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই দু’লক্ষ ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। সাগর, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, নামখানা, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাথরপ্রতিমার জি প্লট। জেলাশাসকদের মাধ্যমে যাতে ‘ডিএম কিট’ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে পৌঁছে যায়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য তৎপরতাও শুরু হয়েছে ওই দপ্তরে। বুধবার বিকেল থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব আসতে শুরু করেছে নবান্নে। বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষিক্ষেত্রে। আজ বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত রিপোর্ট আসবে। ১৪টি দপ্তর থেকে আসা রিপোর্ট সংযুক্ত (কমপাইলেশন) করে দিল্লিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে পাঠানো হবে।
আগামীকাল, শুক্রবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের টিমের রাজ্যে আসার কথা। তাঁদের সামনে রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অফিসাররাই তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরিয়ে দেখাবেন। একইসঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যেরও দাবি জানানো হবে। তবে রাজ্যের অফিসারদের এব্যাপারে অতীতের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। এর আগে ২০১৫ সালের বন্যা, কয়েক মাস আগের ঘূর্ণিঝড় ফণীর ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পাঠিয়ে টাকা চাইলেও সেভাবে এগিয়ে আসেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এবার কতটা আসবে, তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন তাঁরা। তবে কেন্দ্রীয় সাহায্য না এলেও রাজ্য তার ক্ষমতাতেই দুর্গত মানুষের হাতে ডিএম কিট, ত্রাণসামগ্রী তুলে দিচ্ছে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।